• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট সীমান্তে বেপরোয়া চোরাকারবারি ‘লনি’সিন্ডিকেট

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
সিলেট সীমান্তে বেপরোয়া চোরাকারবারি ‘লনি’সিন্ডিকেট

সিলেট সীমান্ত দিয়ে যেমন ভারতীয় চোরাই পণ্যের চোরাচালান অব্যাহত রয়েছে,দিন দিন এ সিন্ডিকেট যেন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

স্থানীয় সূত্রমতে সিলেটের সীমান্তবর্তী,গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে রয়েছে চোরাচালানীদের পৃথক পৃথক তথ্যসিন্ডিকেট। এগুলোর মধ্যে চোরাচালানীদের সবচেয়ে শক্তিশালী তথ্যসিন্ডিকেট সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা এলাকায়। চোরাচালানীদের এ সব তথ্যসিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন কতিপয় নামধারী সাংবাদিক,রাজনৈতিক দলের পাতি নেতা, পুলিশের মানিসোর্স ও থানার দালাল।

আর এ সব সিন্ডিকেটের তথ্য সরবরাহের কারণেই চোরাচালান বিরোধী অভিযানে কাঙ্খিত ফলাফল পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাইতো জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চোরাই পণ্য স্থল ও জলপথে এসে মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। এ সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় চোরাচারানীরা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পণ্য চোরাইপণ্য আমদানী করে গোয়াইনঘাটেই জমা করে। পরে গাড়ি বোঝাই করে তা সিলেট নগরসহ অন্যত্র পাচার করে। এই উপজেলা ক্রস করতে চোরাকারবারিরা সাহায্য নেয় তাদের নিয়োজিত তথ্যসিন্ডিকেট এর।

অভিযোগ রয়েছে,সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার মধ্য জাফলং ইউনিয়নের সিড়িরঘাট,হাজীপুর,লামা পুঞ্জি,প্রতাপপুর বিজিবি ক্যাম্প এর সামনের রাস্তা,নকশিয়া পুঞ্জি,জিরো পয়েন্ট,কাটারি রাস্তা ও জাফলং চা বাগান হয়ে এ ইউনিয়ন ও পার্শবর্তী ইউনিয়নের প্রায় ২২টি চোরাই পথে আসছে ভারতীয় পণ্য মাদক, কসমেটিকস, কীট ও বিভিন্ন ব্রান্ডের শাড়ি ত্রীপিস এবং বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে পচা সুপারি।চোরাই পথে আসা এসকল পণ্যের সরকারি কোন বৈধতা না থাকলেও! স্থানীয় থানাপুলিশ নিজেদের ফোর্স ও স্থানীয় সরকারদলীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্যের উপর দৈনিক কোটি কোটি টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সুত্র ও ডিবি পুলিশের সাবেক লাইনম্যান বর্তমান থানা পুলিশের লাইনম্যান শ্যাম কালা,যুবলীগের লনি ও লিলু,ও জসিম ভারতীয় চোরাচালান থেকে থানা পুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি জানান,কথিত পুলিশের লাইনম্যান শ্যাম কালা ও লনি পুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করেও দিনের বেলায় এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়ায় তারা।

জানা যায়,মধ্য জাফলং ইউনিয়নের কাপাউরা গ্রামে তার মামার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রশাসনের নামে ভারতীয় চোরাচালান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে এই সিন্ডিকেট।

সম্প্রতি বিষয়ে গোয়াইনঘাটের দুই অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের মাধ্যমে জুবেরের স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও এবং সিলেটের আরেক প্রতিবেদকের কাছে চাঁদাবাজির একটি অডিও স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ডিবি পুলিশ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

পরে গোয়াইনঘাট থানাপুলিশের সাথে মাসিক ১৩ লক্ষ টাকা অগ্রীম পরিশোধ করে উপরোক্ত চোরাচালানের উপর পুলিশের নামে চাঁদা তুলতে মাঠে রয়েছেন গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের লাইনম্যান শ্যাম কালা ও লনি।

এসকল অপরাধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার কল রেকর্ড ও একাধিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও টনক নড়ছে না স্থানীয় থানাপুলিশ কিংবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন