• ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ওসমানী হাসপাতালে ৬ লাখ টাকা ঘুষ কেলেংকারি মূল হোতা সাদেককে প্রধান আসামী করে মামলা

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
ওসমানী হাসপাতালে ৬ লাখ টাকা ঘুষ কেলেংকারি মূল হোতা সাদেককে প্রধান আসামী করে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুষ কেলেংকারির মূল হোতা বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ)সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার রাতে সিলেট কতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত)মোহাম্মদ হানিফ।মামলায় প্রধান আসামি হলেন ইসরাইল আলী সাদেক।সাদেক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স(পুরুষ)ও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের(বিএনএ)সাধারণ সম্পাদক।

অপর দুই আসামি সিনিয়র স্টাফ নার্স মো.আমিনুল ইসলাম ও সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমন চন্দ্র দেব।

এরআগে ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে ঘুষের ৬ লাখ টাকাসহমামলার অপর দুই আসামিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আটক

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে ৬ লাখ টাকা আর্থিক লেনদেনকে দুজনকে আটক করলেও পালিয়ে যান মোল হোতা সেই সাদেক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।

তিনি বলেন,সকালে নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীমা আক্তার এসে তাকে জানান,সাদা পোশাকের কিছু লোকজন সিনিয়র নার্স আমিনুল ও সুমনকে ধরে নিয়ে গেছে।

পরে গোয়েন্দা সংস্থা মারফত জানতে পারি একজন সিনিয়র মহিলা নার্সের আটকে থাকা এরিয়ার বিলের টাকা ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের আটক করে গোয়েন্দারা।

এ ঘটনায় কতজন জড়িত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,এই ঘটনার মূল হোতা বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক।সে পলাতক রয়েছে।

 

ইসরাইল আলী সাদেক (৪৪) ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও নগরের কাজলশাহ-১৭৬ নং বাসার মৃত মজর আলীর ছেলে।

এজাহারনামীয় অপর দুই আসামি হলেন- ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আমিনুল ইসলাম (৪৫)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের ছেলে এবং একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমন চন্দ্র দেব (৪১)। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার স্বগীয় সুনীল কুমার দেবের ছেলে।

ভুক্তভোগী সিনিয়র নার্স গণমাধ্যমকে বলেন, তার এরিয়ার (ডিউটির) বিলের ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। সেই টাকাগুলো উত্তোলন করতে চাইলে তারা তা আটকে দিয়ে ইসরাইল আলী ছাদেক,আমিনুল ও সুমন দেবসহ ৪ জন। পরে তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করলে দেনদরবার করে সাড়ে ৬ লাখ টাকায় রাজি হয়।

মঙ্গলবার ৫০ হাজার কম দিয়ে ৬ লাখ টাকা মেডিক্যাল কলেজ অভ্যন্তরের ব্যাংক থেকে তুলে দিতে যাই।তখন সাদেককে ফোনে বলি তার হাতে টাকা দেবো। কিন্তু সে না এসে আমিনুলকে পাঠায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অবজারভেশন কক্ষের পাশে স্টোর রুমে টাকা হস্তান্তরকালে দুইজন লোক এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং আমিনুল ও সুমন দেবকে আটক করে নিয়ে যায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন