• ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গোয়াইনঘাটে পুলিশের উপর হামলা করে ডাকাত সর্দার কামরুল ও তার পরিবার

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
গোয়াইনঘাটে পুলিশের উপর হামলা করে ডাকাত সর্দার কামরুল ও তার পরিবার

আলী হোসেন, গোয়াইনঘাট :: সিলেট জেলার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ, সিলেট নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া জেলার সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, ভিকটিম উদ্ধার, মাদক, খুন, ধর্ষণ, চোরাচালান, পরোয়ানাভুক্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে জেলা পুলিশ, সিলেট সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলারস্থ গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযানিক দল ২৯/১২/২০২৩ইং তারিখ গোয়াইনঘাট থানাধীন ৪নং লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সতি গ্রামের ইছরাক আলীর ছেলে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার কামরুল ইসলাম (৩০)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাচালানসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। যাহা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন। এছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট সিআর-২১/২২, ধারা-৩৭৯/৪৫৭/৫০৬(২) পেনাল কোড, গোয়াইনঘাট জিআর-১৬০/২৩, ধারা-৪১৩ পেনাল কোড, গোয়াইনঘাট জিআর-৩২৮/২২, ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি, গোয়াইনঘাট জিআর-৩০২/২২, ধারা- ৪৫৭/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড ধারায় ৪টি গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহার নিজ বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শনিবার সকাল ১০টায় গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুক্রবার (২৯ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাহার নিজ বাড়ী গোয়াইনঘাট থানাধীন ৪ নং লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সতী সাকিনস্থ আসামী কামরুল ইসলাম এর বসত বাড়ীতে উপস্থিতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ তাহার বসতঘর ঘেরাও করে। ওই সময় এসআই কামাল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ আসামী কামরুল ইসলাম এর বসতঘরে প্রবেশ করিয়া কামরুল ইসলামকে ধৃত করার চেষ্টা করিলে আসামী কামরুল ইসলাম তাহার কোমরে থাকা একটি ধাড়ালো দা হাতে নিয়া পুলিশকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী আঘাত করে এসময় দুইজন অফিসার গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হন। আটকের একপর্যায়ে বসত ঘরে তল্লাশী চালিয়ে তাহার বিছানার নিচ থেকে ৩ফুট লম্বা ধারালো তরবারী, ১টি ধারালো দা,১টি প্লাষ্টিকের হাতল যুক্ত চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ।

একপর্যায়ে আসামী কামরুল ইসলাম এর মা ধৃত আসামী জুলেখা বেগম, বোন রুনা আক্তার রুমি ও আসামী কামরুল ইসলামের ফুফাতো ভাই আব্দুল বাসিত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া আসামি কামরুল ইসলামকে পুলিশের হেফাজত থেকে চিনিয়ে নিতে থানা পুলিশের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। পরোয়ানাভুক্ত আসামী কামরুল ইসলামসহ অপরাপরদের আটক করা হয়। ডাকাত কামরুল ইসলাম’র মাকে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ নিয়া গেলে আসামী কামরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে কামরুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিওমেক হাসপাতালে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম আরোও বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনসাধারণের সহযোগিতায় কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে টিম গোয়াইনঘাট পুলিশ। অপরাধ দমনে সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন’র নির্দেশিত ছকে আমাদের অপরাধ ও মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ইভটিজিং সহ সামাজিক সকল অপরাধ দমনে টিম গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স নীতি দেখিয়ে আসছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •