• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতক-দোয়ারা সীমান্তে বুলবুল মেম্বারের নেতৃত্বে বেপরোয়া চোরাকারবারিরা!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
ছাতক-দোয়ারা সীমান্তে বুলবুল মেম্বারের নেতৃত্বে বেপরোয়া চোরাকারবারিরা!

বিশেষ  প্রতিবেদক: সীমান্তের ওপারেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য আর এপারে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা। এ দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকা চোরাকারবারিদের স্বর্গরাজ্যে রূপ নিয়েছে।

এ দুই উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার পণ্য অবৈধ পথে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। ছাতকের ৮নং বোগলা ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বারের আর্শীবাদেই এ দুই উপজেলায় শক্তিশালী চোরাচালান চক্র গড়ে ওঠেছে।

জানা গেছে, সুরমা নদীতে সেতু নির্মিত হওয়াতে দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে ছাতকের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বর্তমানে সীমান্ত চোরাচালান কারবার জমজমাট। ছাতকের ছোট-বড় শতাধিক ব্যবসায়ী চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে চোরাকারবারিদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ৮নং বোগলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুল মিয়া। বুলবুল মেম্বারের আর্শীবাদেই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, থানা পুলিশসহ সবাইকে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে চলছে এ দুই উপজেলার চোরাচালান কারবার।

ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক, কসমেটিকস, শাড়ি, চিনি, গরু-মহিষ, আগ্নেয়াস্ত্র প্রভৃতি। বিপরীতে দেশ থেকে পাচার করা হচ্ছে শিং-মাগুরসহ নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। চোরাই পথে মাছ ভারতে পাচার হওয়ায় স্থানীয় বাজারগুলোতে মাছের সংকট খুব বেশি।

পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। মাঝেমধ্যে সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হাতে মাদকসহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য জব্দ হলেও অদৃশ্য কারণে দেশ থেকে পাচারকৃত মাছের চালান তেমনটা আটক হতে দেখা যায়নি।

অভিযোগের তীর সীমান্ত রক্ষী বিজিবি’র প্রত্যক্ষ মদদে ও পুলিশ, র‍্যাব, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের দিকে। বোগলা বর্ডারহাট হচ্ছে চোরাকারবারীদের মধ্যস্থতার প্রধান পথ। এখানে বসেই তারা পাচার বাণিজ্যের চাহিদা নির্ধারণ করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে দেশের টাকা ভারতে পাচার করছে। সবচেয়ে বেশী পাচার বাণিজ্য হচ্ছে দোয়ারাবাজারের কলাউরা পয়েন্টে। কলাউরার দিকে তারের বেড়া না থাকায় অনায়াসে আসছে গরু মহিষ ও ভারতীয় পণ্য।

যেহেতু আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করেই পাচার বানিজ্য চলছে সেক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্যের সাথে আসছে অস্ত্র ও মহিষের পেঠের ভিতরে করে আসছে ইয়াবার বড় চালান।

নাম না প্রকাশের শর্তে সাবেক এক চোরাকারবারী জানান- কমপক্ষে ১০ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট পলিথিনে মুড়িয়ে সাদা সুতা লাগিয়ে মহিষের পায়খানার রাস্তা দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং একটি সুতা থাকে দেশে নিরাপদে নিয়ে আসার পর ঐ মহিষের পেঠ থেকে সুতা ধরে টান দিলে বেরিয়ে আসে ইয়াবা।

আর এভাবেই চলে ভারত-বাংলার ইয়াবার কারবার। প্রতিটি মহিষের পেঠ পরীক্ষা করলেই বেরিয়ে আসবে প্রকৃত ঘটনা।

স্থানীয় একাধিক সুত্রমতে, প্রতি রাতে বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন কয়েক কোটি টাকার ভাগ ভাটোয়ারা পাচ্ছেন। প্রতিটি মহিষের জন্য বিজিবি’র লাইনম্যান নিচ্ছে ৩ হাজার, পুলিশ ১৫ শত, ডিবি ১ হাজার টাকা করে। ভারত থেকে আসা গরু-মহিষের পায়ের চাপে পৃষ্ট হচ্ছে অনেক দরিদ্র কৃষকের ফসলী জমি ও সবজি বাগান।

সাধারণ মানুষের ফসলী জমি ও বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্থ করলেও বিচার পাচ্ছেন কোথাও। এসব বাণিজ্যের প্রধান গডফাদার হিসেবে বোগলাবাজার ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুল মেম্বার।

প্রতি সপ্তাহেই স্ব স্ব সংস্থার টাকা পৌছে দিচ্ছেন স্ব স্ব সোর্সদের মাধ্যমে। স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝেও কেউ কেউ ভাগ ভাটোয়ারা পাচ্ছেন বলে সুত্র জানায়।

চোরাচালানী রুট হিসেবে বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া ১২৩৬ পিলার প্রতি রাতে কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। সীমান্তের কোন কোন এলাকায় চোরাচালানী ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে- বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া ১২৩৬ পিলার, শিমুলতলা, বাঁশতলা, পেকপাড়া, বোগলাবাজার ইউনিয়নের বাগান বাড়ি, গাছগড়া, ইদুকোনা লক্ষীপুর ইউনিয়নের ভাংগাপাড়া, মাঠগাও, দৌলতপুর, নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর, শ্যামারগাও, চাইরগাও পয়েন্ট। রাত ১০টা থেকে ফজরের আজান পর্যন্ত এই সীমান্ত গুলো দিয়ে চলে পাঁচার বাণিজ্য। গরু-মহিষ পাঁচারের জন্য দোয়ারাবাজার থেকে নরসিংহপুর হয়ে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ হয়ে জগন্নাথপুর রানীগঞ্জ কিংবা সিলেটের তেমুখী বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে থাকেন।

এই দুই উপজেলার চোরাচালান বাণিজ্যের প্রধান গডফাদার প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুল মেম্বারের নেতৃত্বে চোরাচালানে জড়িত ব্যাক্তিদের মধ্যে কলাউড়া-বাংলাবাজার সীমান্তে বিজিবির লাইনম্যান- খোয়াজ আলী, আব্দুল মজিদ ও খলিল মিয়া, থানার লাইনম্যান আবুল কালাম ও ডিবি পুলিশের লাইনম্যান হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন জাহাঙ্গীরগাও গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র আব্দুল হক।

এ দুই উপজেলায় শতাধিক ব্যক্তি চোরাচালানে জড়িত রয়েছেন, তারদের মধ্য অন্যতম- বাংলাবাজার ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের মৃদ সাদ উল্লাহর পুর চেরাগ আলী, সনুগা গ্রামের মৃত ইশাদ আলীর পুত্র আরব আলী, কুশিউরা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর পুত্র সুলতান মিয়া, মিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল আজিজ ওরফে সুমন আজিজ, কলাউরা গ্রামের আনোয়ার ওরফে নতুন আনোয়ার, একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র কাশেম মিয়া, আবু তাহের, জয়নাল আবেদীনের তিন পুত্র- হাসেম মিয়া, সুজন মিয়া, নজির মিয়া, কুশিউরা গ্রামের তাইজুল ইসলাম, একই গ্রামের কাহার মিয়া, তোফাজ্জল, কিরণপাড়ার আফজাল, সনুগাও এর আরজ আলী, কাইয়ুম মিয়া ওরফে হোটেল কাইয়ুম, জাহাঙ্গীর গাও এর নজরুল ইসলাম, মিদ্দার পাড়ার মোঃ সামসুদ্দিন, বড়খাল গ্রামের আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর গাঁও এর আমির উদ্দিন, মিদ্দার পাড়ার মৃত ইয়াকিন আলীর পুত্র কামরুল ইসলাম, দোয়ার গাঁও এর অমূল্য মোহন দাসের পুত্র অনন্ত মোহন দাস উরুফে কালা, লেদার কান্দি নসিমপুরের লুতু মিয়ার পুত্র শাহ আলম, জাহাঙ্গীর গাঁও এর শিব্বির আহমেদ, ছুমকির গাঁও এর সালেহ মিয়া ও মৌলারপাড়ের ফিরুজ মিয়া।

এদিকে ছাতক-দোয়রাবাজার উপজেলার চোরাচালানের প্রধান গডফাদার ও ৮নং বোগলাবাজার ইউনিয়নের চোরাকারবারিদের নিয়ন্ত্রক প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুল মেম্বার। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন- শারফুল মিয়া ও কাউছার মিয়া এবং লক্ষীপুর ইউনিয়নের চোরাকারবারিদের নিয়ন্ত্রক সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল হকের ভাই আব্দুল করিম ও তার ভাতিজা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বাঁশতলা, পেকপাড়া ও ইদুকোনা সীমান্তে চোরাকারবারিদের নিয়ন্ত্রকের তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদেরর মধ্যে অন্যতম- আবুল হাসনাত উরুফে মোঃ মহর আলীর পুত্র মোঃ খোরশেদ আলম, বাঁশতলার আব্দুল কাদিরের পুত্র খোরশেদ, পেকপাড়ার সুলেমানের পুত্র মোতালেব, ঝুমগাঁও এর মৃত মনির মিয়ার পুত্র মিছির মিয়া, ঝুমগাও এর হাছিব উদ্দিনের পুত্র মাহতাব মিয়া, পেকপাড়ার রহমান সরদারের পুত্র নজরুল, কলোনির আব্দুল হকের পুত্র রাব্বিল, বাশতলার গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র মাসুক, বাশতলার গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র রুপচান, পেকপাড়া গ্রামের- আব্দুল বারেকের পুত্র কাশেম, গনু মিয়ার পুত্র আলাল মিয়া, আরিফ মিয়ার পুত্র সুহেল মিয়া, ছিদ্দিক আলীর পুত্র মাসুক মিয়া, মিয়া হোসেনের পুত্র শফি উদ্দিন, মৃত আলীম মোল্লার পুত্র আসমত আলী, মোঃ ম্যানা মিয়ার পুত্র মোঃ ইসরাফিল, আজাদ মিয়ার পুত্র নয়ন মিয়া, মর্তুজ আলীর পুত্র মোঃ উজ্জ্বল মিয়া, ইরাব আলীর পুত্র আকবর আলী, কালিটিলা গ্রামের লোনীর পুত্র মাসুক মিয়া, নুর ইসলামের পুত্র মোঃ ফখর উদ্দিন, ইসলামপুর ঝুমগাও এর মোঃ তোতা মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া, বাশঁতলা গ্রামের সুনা মিয়ার পুত্র তাইজুল ইসলাম ও শহিদ মিয়ার পুত্র সজল মিয়া।

অন্যদিকে, দুই উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাবাজারসহ বোগলাবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাছ রাখার গোপন হাউস রয়েছে। এসব হাউসের পানিতে জিইয়ে রাখা হয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। সন্ধ্যার পর ড্রামের ভেতরে মাছসহ পানি ভর্তি করে নিয়ে ট্রাকে ভারতের উদ্দেশে নেওয়া হয়। সুবিধাজনক সময়ে সীমান্তে অবস্থানরত শ্রমিকরা সেখান থেকে মাছ ভর্তি ড্রাম পৌঁছে দেয় ভারতীয় ট্রাকে। এই এলাকাসহ এ দুই উপজেলার চোরাচালান চক্রের নিয়ন্ত্রকের প্রধান গডফাদার হিসেবে বার বার যার নাম উঠে আসছে সে ৮নং বোগলাবাজার ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুল মেম্বার।

বাংলাবাজার এলাকার আনোয়ার ওরফে নতুন আনোয়ার, জিসান, রুস্তম ও ইব্রাহিম ১২৩৬ নম্বর পিলারসহ বোগলা ইউনিয়নের ইদুকোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে পাচার করছে এসব মাছ। তবে আনোয়ার, জিসান, রুস্তম ও ইব্রাহিমের গডফাদারের গুরুদায়িত্বে রয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুল মেম্বার। মূলত বুলবুল মেম্বারের আর্শীবাদেই আনোয়ার, জিসান, রুস্তম ও ইব্রাহিম অবাধে ভারতে পাচার করছে এসব মাছ। ভারতে কৈ, শিং ও মাগুর মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যে কারণে এসব মাছ পাচার করে দ্বিগুণ টাকা কামাচ্ছেন চোরাকারবারি বুলবুল মেম্বারের চক্র।

এসব মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বাংলাবাজার এলাকার আনোয়ার, জিসান, রুস্তম ও ইব্রাহিম মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান- তারা মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান বুলবুল মেম্বার সাংবাদিকদের জানান- তিনি আগে চোরাচালান ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তখন প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নয়।

এব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান সাংবাদিকদের জানান- উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ট্রাকে বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় প্রজাতির মাছ সরবরাহ করা হয়। তবে ভারতে পাচারের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক সাংবাদিকদের জানান- চোরাচালান প্রতিরোধে থানা পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। দেশ থেকে মাছ পাচারের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বর্মন সাংবাদিকদের জানান- দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে মাছ পাচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করব।

এব্যাপারে ২৮ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার লে.কর্ণেল মাহবুবুর রহমান এর বক্তব্য জানতে বার বার ব্যবহৃত সেলফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ প্রদান না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান- চোরাচালান রোধে পুলিশ কাজ করছে। সঠিক তথ্য উপাত্ত দিতে পারলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমার কোন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। চোরাচালানীদের কোনভাবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ছাড় দেয়া হবে না।চলমান..!

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন