নিজস্ব সংবাদদাতা:সিলেটের সীমান্তঘেষা থানা কোম্পানীগঞ্জ। থানা এলাকা সমতল ভূমি হলেও ভারতের সুউঁচু মেঘালয়া পর্বত বেষ্টিত একটি থানা।তাই হাত বাড়ালেই বাংলাদেশে চলে আসে মাদক-চিনি ও ভারতীয় রকমফের চোরাই পণ্য।
থানা সীমান্তর কোনো কোনো স্থানে পাহাড় থেকে গড়িয়ে অনায়াসে বাংলাদেশের ভেতরে নামিয়ে দেওয়া হয় ভারতীয় পণ্য। বিশেষ করে নয়াবস্তী,তোরং ও ভোলাগঞ্জ এলাকায় পরিলক্ষিত হয় এমন দৃশ্য।
সম্প্রতি বাংলাদেশে চিনি সংকট হওয়ায় ভারতীয় চিনি চোরাচালান বেড়ে গেছে সীমান্ত এলাকায়।পাশাপাশি বেড়েছে গরুর চোরা কারবারও। তাই চোরকারবারীদের নিরাপদ রুট হয়ে গেছে সিলেটের সীমান্তিক থানা কোম্পানীগঞ্জ। বেড়ে গেছে পুলিশের লাইনম্যানদের দৌরাত্ম ও বখরাবাজি।
দেশের সর্ববৃহৎ কোয়ারি ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা জড়িয়ে পড়েছে চোরাচালানীতে। জমজমাট হয়ে উঠেছে চিনি,বিড়ি,মাদক ও কসমেটিক্স এর চোরাচালান। আর এ সুযোগে অবৈধ কামাইয়ে মেতে ওঠেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও বখরাবাজ লাইনম্যানরা।
অভিযোগ পাওয়া গেছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আসাদুল ইসলামের সার্বিক পরিচালনায় গড়ে ওঠা লাইনম্যানদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন থানার মাঝরগাঁওয়ের শাহীন। শাহীন আবার সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য (সংরক্ষিত) তামান্না আক্তার হেনার ভাগ্না। খালামনির সুবাদে পুলিশের লাইনম্যানের নেতৃত্বে চলে এসেছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে কামাই করছেন লাখ লাখ টাকা। তাই অল্প দিনেই শাহীন হয়ে উঠেছেন কোটিপতির তালিকায়।
শাহীন চক্রের অন্য সদস্যদের মধ্য উল্লেখযোগ্য একই মাঝরগাঁওয়ে সিদ্দিক ও থানার ভরন সিদ্ধিপুরের টিপু। তারা চোরা কারবারীদের কাছ থেকে থানার এসআই আসাদুল ইসলামের নামে লাইন (বখরা) কালেকশন করে ভাগ দিয়ে থাকেন থানা পুলিশের এসআই আসাদুল ইসলামকে। আর এসআই আসাদুল ম্যানেজ করে থাকেন থানা ও সার্কেলের পদস্থ কর্তাব্যাক্তিদেরকে।
অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি চিনির বস্তায় ১ হাজার টাকা ও প্রতিটি গরু প্রতি ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে বখরা আদায় করে থাকে পুলিশের লাইনম্যানরা। এভাবে দৈনিক হাজার হাজার বস্তা চিনি ও হাজারো গরুর চোরাচালান ভারত থেকে আনা হয়ে থাকে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে একাধিকবার কল দিলেও কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকের ফোনকল কেটে দেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন