সিলেটের মালেক মিয়া নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক চালক পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের পার্শ্ববর্তী ছড়া থেকে বস্তাবন্দি লাশের রহস্যের জট অনেকটাই খুলেছে। লাশটি রণজিৎ দাস (৫৮) নামের এক ব্যক্তির। তিনি সিলেট শহরতলির টুকেরবাজারের দুস্কি এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাতে নগরের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসসংলগ্ন ছড়া থেকে দুটি আলাদা বস্তায় তার খণ্ডিত লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রণজিৎ। এ ঘটনায় তার ছেলে শংকর দাস জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বশেষ রণজিৎ দাসের সঙ্গে মালেক মিয়ার কথোপকথন ও একসঙ্গে অবস্থানের তথ্য পায় পুলিশ। এরপর থেকে তাকে নজরদারিতে রাখে। তার কাছ থেকে চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। তাতে লেখা ছিল, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।খবর যুগান্তর
পুলিশ জানায়, মালেককে উদ্ধারের পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে রণজিৎ দাসকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে টিলাগড় এলাকার একটি ছড়ায় ফেলে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
সিলেটের শাহপরান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে জানান, আগের বাগবিতণ্ডার জেরে রণজিৎ দাসকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন