পোস্ট ডেস্কঃঃসিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মূর্তিমান নতুন আতঙ্কের নাম চাঁদাবাজ রুহেল চক্র। প্রায় একডজন মামলার আসামী রুহেল উপজেলার বুরদেও গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র।
অভিযোগ রয়েছে কর্মহীন রুহেল মিয়া এলাকার কতিপয় বখাটে নিয়ে গড়ে তুলেছে একটি সন্ত্রাসী চক্র। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে আদায় করে চলেছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা।
বিশেষ করে জমির ক্রতা-বিক্রেতারা তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন না। সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ থানায় রুহেলদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি গুরুতর অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছ, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর বুড়দেও গ্রামে ক্রয়সূত্রে ৫শতক জমির মালিক ও ভোগদখলকার মো. শামীম আহসান। তিনি চাঁদাবাজ রুহেল চক্রের কবলে পড়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানায় দেওয়া অভিযোগে মো. শামীম আহসান উল্লেখ করেন ২০০৮ সালে ৮৪৫নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে ৫ শতক জমি ক্রয় করেন তিনি। যা’ উপজেলার তৈমুর নগর মৌজার এস এ ৩৩৮ ও বিএস ৪৯১৯নং দাগের ভূমি। ক্রয়ের পর শামীম আহসান নিজ নাম নামজারী জমা খারিজ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল ও ভোগশাসন করে আসছিলেন।
ইদানিং শামীম আহসানের টাকার বিশেষ প্রয়োজন পড়ায় উল্লেখিত ৫ শতক জমি বিক্রি করতে চাইলে নিলে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তর বুড়দেও গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে রুহেল মিয়া ও তার সহযোগী চাঁদাবাজ চক্র।
রুহেল মিয়া স্বল্পমূল্যে তার কাছে ৫ শতক জমি বিক্রির জন্য শামীম আহসানকে চাপ দিতে থাকেন । এতে শামীম অপারগতা প্রকাশ করলে রুহেল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং শামীম আহসানকে বলেন ওই জমি অন্য কারো কাছে বিক্রি করলে তাকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এ অবস্থায় শামীম আহসান একজন প্রবাসীর কাছে উক্ত জমি বিক্রির কথাবার্তা চুড়ান্ত করেন। সে হিসেবে তিনি তার জমির চারদিকে পাকা খুটি গেড়ে ৫শতক জমির সীমানা চিহ্নিত করেন। গগ ১২ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রুহেল মিয়া ও তার সহযোগী চক্র দা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শামীম আহসানের ৫ শতক জমির সীমানা খুটিগুলো উপড়ে ফেলেন । এতে বাধা দেওয়ায় রুহেল মিয়া দা দিয়ে শামীম আহসানকে কোপ মারতে চাইলে উপস্থিত লোকজনের হস্তক্ষেপে তিনি সামান্যের জন্য রক্ষা পান। এসময় রুহেল দম্ভ করে বলেন-‘সবাই আমাকে চাঁদা দেয়, তুই চাঁদা না দিয়ে জমি বিক্রি করতে পারবিনা’।
এ ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন শামীম ও তার পরিবার পরিজন।
রুহেল মিয়ার নামে কোম্পানীগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতিসহ প্রায় ৮ থেকে ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে থানাসূত্র।
সূত্রটি আরো জানায়, রুহেল এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। রুহেল বাহিনীর ভয়ে অনেকে থানায় অভিযোগ করতেও ভয় পান।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায় শামীম আহসানের দেওয়া অভিযোগের তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন