বেসামালা সিলেটের পেঁয়াজের বাজার। দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার পরপরই অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের কারসাজি শুরু করে। একলাফে ৮০/৯০ টাকার পেঁয়াজ এখন দু’শো ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার বিকেলেও সিলেটের খুঁচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কিন্তু সন্ধ্যার পরপরই দু’শো টাকা করে বিক্রি শুরু হয়। অনেকটা অরাজক অবস্থা বিরাজ করছে সিলেটের বাজারগুলোতে।
এ বিষয়ে সচেতনদের অভিমত, এখনো বাজারে আছে আগের আমদানিকৃত পেঁয়াজ। খুঁচরা বাজারে যার দাম প্রতি কেজি ৭০/৮০ টাকার বেশী হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এখন তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেজি প্রতি মুনাফা করছে তারা অন্তত ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
এমন কারসাজির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তাদের বক্তব্য পরিস্কার। সরকার কেন বাজার সামাল দিতে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছে না? সাধারণ মানুষের পকেট কাটার এমন অশুভ তৎপরতা বন্ধে যদি সরকার উদ্যোগ না নেয়, তাহলে নেবে কে? আমাদের অভিভাবক কে? আমরা কোথায় যাবো?
সাধারণ মানুষের এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে সিলেটের জেলা প্রশাসক রাসেল হাসানের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তর এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কাজ করছে। যতদ্রুত সম্ভব জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট বা বাজার মনিটরিং টিমও মাঠে নামবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ভোক্তা অধিকার মাঠে আছে, কাজ করছে। আমি নিজে আজ বালাগঞ্জের গোয়ালাবাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। কয়েকটি দোকানের মালিক কে প্রায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ভোক্তা অধিকারের অপর দু’টি টিম মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী কাজ করছি।
এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, সারাদিনে দু’একটি এলাকার বাজারে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা। এ ব্যাপারে অন্তত ৮/১০টি টিম মহানগর এলাকায় আর উপজেলা বা পৌর এলাকায় অন্তত ৪/৫টি টিম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা সম্ভব হতে পারে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন