বিশেষ প্রতিবেদকঃঃসিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং সীমান্তে চোরাকারবারীদের গডফাদার মন্নান মেম্বারের নেতৃত্বে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের নামে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য চলছে জমজমাট।
গুচ্ছ গ্ৰাম,লাল মাটি,আমতলা,সোনা টিলা,তামাবিল স্থলবন্দর,এলাকা দিয়ে,চিনি,চা পাতা,কসমেটিক শাড়ি,থ্রিপিস,লেহেঙ্গা,মোবাইলফোন,মদ,ইয়াবা,ফেন্সিডিল,সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে।মান্নান মেম্বারের নেতৃত্বে চলছে চোরাচালান ব্যবসা।
তারা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসকল পন্য সামগ্রী নিয়ে আসছে নিরাপদে নেই কোন বাধা। এই সব এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা নিষেধ থাকলে ও নেই তাদের কোন বাধা,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সাথে তারা চালিয়ে যাচ্ছে,তাদের চোরাচালান ব্যবসা।
আর তাতে লাভবান হচ্ছেন চোরাকারবারিদের লাইনম্যান মন্নান মেম্বার। মন্নান মেম্বারের নিয়ন্ত্রণে একেক সময় একেক পথ ব্যবহার করে ভারত থেকে আনা ভারতীয় পণ্য ও ব্র্যান্ডের মালামাল নিয়ে আসছে,কার্টুনের ভিতরে কেউ তা খুলে দেখেন না। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে মন্নান মেম্বারের রয়েছেন লাঠিয়াল বাহিনী তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
কেউ মুখ খুললে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখান এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদেরকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেট।
এলাকার সাধারণ জনতা ও সচেতন নাগরিকরা এদের কাছ থেকে রেহাই পেতে চান,প্রশাসনের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকার কারণে দাপটের সাথে চোরাকারবারীও চোরাচালান ব্যবসীদের কাছ থেকে প্রতি কিট থেকে ৫০০টাকা করে চাঁদা আদায় ও চিনির বস্তা থেকে ৩০০টাকা করে চাঁদা আদায় করতে সক্ষম।অল্প কয়েকদিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নেন লাইনম্যান মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেট।
এদিকে ভারত থেকে চোরাই পথে কোটি কোটি টাকার মালামাল বাংলাদেশ আসছে।আর তাতে বাংলাদেশ সরকার হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব।
তামাবিল ও সংগ্রাম সীমান্তের লালমাটি ও গুচ্ছ গ্রাম,আমতলা,সোনা টিলা,তামাবিল স্থলবন্দর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে আসছে নিরাপদে।
কয়েকদিন পূর্বে ৭১ টিভি সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে চিনি সহ একটি অটো গাড়ি আটক করা হলে, মন্নান মেম্বারের সহযোগিতায় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এবিষয়ে জানতে তামাবিল ক্যাম্প কমান্ডারের মুঠোফোনে ফোন দিলে উনি জানান এ বিষয়ে আমি অবগত নয় বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডারের মোঠুফোনে একাদিগ বার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি সেই জন্য বক্তব্য নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে গোয়ানঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম জানান আমার পুলিশদের জানিয়ে দিয়েছি ভারতীয় কোন মাল প্রবেশ করবে না ভারতীয় মাল প্রবেশ নিষিদ্ধ চোরাই পথে কোন মাল বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তা অভিযান চালানো হবে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এব্যাপারে জানতে স্থানীয় মন্নান মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের কথা অস্বীকার করে বলেন আমার এক ভাতিজা সিরাজুল ও আরেক ভাতিজা এসবের সাথে জড়িত, আমি না।চলমান…!
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন