বিশেষ প্রতিবেদকঃঃসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১১ নং মধ্যে জাফলংয়ের তামাবিল,সোনাটিলা ও সংগ্রামপুঞ্জি,সিড়িরঘাট,হাজীপুর,লামা পুঞ্জি,প্রতাপপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা,নকশিয়া পুঞ্জি,জিরো পয়েন্ট, কাটারি রাস্তা ও জাফলং চা বাগান হয়ে এই ইউনিয়ন ও পার্শবর্তী ইউনিয়নের প্রায় ২২টি চোরাই পথে আসছে ভারতীয় চোরাই পণ্য।সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে লক্ষ লক্ষ টাকার খাবার মটর ভারতে পাচার করছে চোরাকারবারিরা।কিন্তু নিরব ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন।
চিনি,আলু,টমেটো,পিয়াজ,অস্ত্র,মাদক,বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল। চোরাই পথে আসা এসকল পণ্যের সরকারি কোন বৈধতা না থাকলেও স্থানীয় থানা পুলিশ নিজেদের ফোর্স ও স্থানীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্যের উপর দৈনিক কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,তামাবিল,সোনাটিলা ও সংগ্রামপুঞ্জি গুচ্চগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বিগত কয়েক দিন থেকে হরিপুরের লাম্বা লোকমান,মানিক,মন্নান মেম্বার,,হজরত মেম্বার,ইভু,ও কামালের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে আধারে ট্রাক ভর্তি মটর পাচার হচ্ছে ভারতে।
আর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চোরাকারবারিরা।রহস্যজনক কারণে স্থানীয় বিজিবির সদস্যরা এই অবৈধভাবে পাচার হওয়া মটর আটক করছে না।যার ফলে এখানকার বিজিবি সদস্যদের উপর থেকে আস্তা হারিয়ে ফেলছে স্থানীয় লোকজন।বিগত দিনে উপজেলা ট্রাস্কফোর্সের এক সভায় এ সিদ্বান্তে জানানো হয়েছে সীমান্ত এলাকায় সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে ইষ্ট খাসিয়াা হিল(অউগ) কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য নিরাপত্তা জারী।
কিন্তু সীমান্ত এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের যাওয়া নিষেধ থাকলেও রাতের আধারে চোরাকারবারিরা শত শত বস্তা খাবার মটর পাচার করছে ভারতে।স্থানীয়দের মতে চোরাকারবারিদের শীর্ষ সিন্ডিকেট,তারাই গডফাদার,তবুও তারা হয়েযায় অধরা।
তামাবিল,সোনাটিলা,সংগ্রম সীমন্ত এলাকায় সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় চোরাকারবারিদের গডফাদার লাম্বা লোকমান,মানিক,মন্নান,মসাহিদ,হজরত মেম্বার,ইভু,ও কামালের রংঙ্গলিলা। বিজিবির হাতের নাগালেই চলছে এ অবৈধ কার্যকম। বিজিবি কি পারছে না এ চোরাচালান রোধ করতে। এই চোরাকারবারিরা অবৈধ ভাবে ভারতে খাবার মটর পাচারের কারনে দেশের বাজারে মটরের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।সিলেট সীমান্তঘেরা জনপদ। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই জেলার দুই দিকেই আছে ভারত সীমান্ত।
এই সীমান্ত এলাকা ঘিরে সক্রিয় একাধিক লাম্বা লোকমান,মানিক,মন্নান মেম্বার,হজরত মেম্বার,ইভু,ও কামালের একটি বিসাল চক্র।সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়তই ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসে এসব চক্র। প্রায় সময়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চোরকারবারি ও ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা পণ্য ধরা পড়ে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে,চোরকারিদের বিরুদ্ধে জোরালো নজরদারি আছে। তবে এখনো অধরা মানিক,ইভু,কামাল ও আলোচিত চোরাকারবারীদের নেতা বিজিবি-পুলিশের অবৈধ টাকার লাইনম্যান মন্নান মেম্বার ,লাম্বা লোকমান ও তার সহযোগী হজরত মেম্বার,প্রকাশ (হজরত আলী)।তবে এই সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় রয়েছেন স্থানীয় বীট অফিসার ইমরুল কবির।
এই লাইনম্যান চক্র দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।এছাড়া বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে খাবার মটর ভারতে পাচার বন্ধের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।জানা গেছে,সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে পণ্য আনা হয় বাংলাদেশে।
অবৈধভাবে আনা পণ্যের মধ্যে আছে কাপড়,কসমেটিকস, বিড়ি,সিগারেট,ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক,চা পাতা প্রভৃতি। এছাড়া গরু,মহিষ এবং মোবাইল ফোনের চালানও সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়।
এমনকি কিছুদিন বিগত দিনে অত্যাধুনিক রিভলবারের একাধিক চালান সিলেটের,গোয়াইনঘাটের পূর্ব বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে দেশে আনার ঘটনাও ঘটেছে।ওই ঘটনায় গোয়াইনঘাটের চোরকারবারি আরব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।ভারতের চোরাকারবারিচক্রের সাথে জাফলংয়ের চোরাকারবারি মন্নান মেম্বার,হজরত মেম্বার সিন্ডিকেটের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকেই চোরকারবারের সাথে জড়িত। সীমান্ত এলাকার এসব চোরাকারবারিদের কারণেই চোরাকারবার থামানো কঠিন হয়ে ওঠছে। কেননা এসব চোরকারবারি রাতের আঁধারে চোরাই পণ্য ভারত থেকে এনে লুকিয়ে রাখে।
পরে সুবিধামতো সময়ে এসব পণ্য সিলেট শহরে পাঠানো হয়।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলরা বলছেন,চোরকারবারিদের বিষয়ে তাদের কড়া নজরদারি আছে।ফলে প্রায় সময়ই অভিযানে চোরাকারবারিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে,জব্দ করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চোরাই পণ্য।কিন্তু তারপরও চোরকারবারিদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না।
এ ব্যপারে সিলেট ৪৮ বিজির সিওর বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোটো ফোন রিসিভ করেননি। যার ফলে সিওর কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে চোরাচালান সিন্ডিকেটের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি । চলমান….!
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন