ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই প্রায় ৮ এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এমনকি হামাসের ক্ষমতা শত্রুর চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ বাহিনীগুলো ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান। খবর আনাদোলুর।
এদিন রেকর্ডকৃত এক বক্তৃতায় ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচল মনোভাব এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সক্ষমতা দুর্বল করতে প্রতিরোধ দলগুলোর সমন্বয়ের প্রশংসাও করেন।
ইসমাইল হানিয়া বলেন, যদি শত্রুপক্ষ দীর্ঘ যুদ্ধ করতে চায়, তবে আমাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা আমাদের শত্রুর চেয়েও দীর্ঘ এবং আমাদের প্রতিরোধই চূড়ান্তভাবে জয়ী হবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ দলগুলো ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে কৌশলগত সংঘাতে লিপ্ত এবং শুধু তারাই এতে বিজয়ী হবে।
তিনি ‘গাজা উপত্যকার মাটিতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অর্জিত বিজয়গুলোর’ দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘প্রতিরোধের বীর নায়করা গাজায় গৌরবের ইতিহাস লিখছেন। নিজেদের বীরত্ব, সাহস ও সাহসিকতা প্রমাণ করে তারা শত্রুর সেনাবাহিনী এবং তাদের যানবাহনকে বেদনাদায়ক আঘাত দিচ্ছেন।’
২০০৫ সালে গাজা থেকে ইসরাইলের বিচ্ছিন্নতার কথা উল্লেখ করে ইসমাইল হানিয়া বলেন, ‘আল-কাসাম ব্রিগেড এবং প্রতিরোধ দলগুলো গাজায় ইসরাইলি দখলদারিত্বকে পরাজিত করবে, যেমনটি তারা ১৮ বছর আগে করেছিল। বিশ্ব এটাই প্রত্যক্ষ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (ইসরাইল) আরও ব্যর্থতা, হতাশা এবং পরাজয় ছাড়া আর কিছুই পাবে না।’
হানিয়া বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি বা জোরপূর্বক বন্দিদের পুনরুদ্ধারের বিষয়ে শত্রুদের যে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ছিল সেটিকে ব্যর্থ করে দিয়েছে গাজার বাসিন্দা এবং প্রতিরোধ যোদ্ধারা।’এর আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে ইসরাইলি এই আগ্রাসন নিয়ে বেশ কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন ইসমাইল হানিয়া। গত মাসের শেষের দিকে তিনি বলেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ পুরো অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন