• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে জাফলং সীমান্তে চোরাচালান!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৩, ২০২৩
মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে জাফলং সীমান্তে চোরাচালান!

বিশেষ প্রতিবেদক:: সিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং সীমান্তের, চোরাকারবারী মন্নান মেম্বারের নিয়ন্ত্রণে চলছে বিজিবি,ডিবি পুলিশ,ও থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজি।

গুচ্ছগ্ৰাম,লালমাটি,আমতলা,সোনা টিলা,তামাবিল স্থলবন্দর,এলাকা দিয়ে,চিনি,চা পাতা,কসমেটিক শাড়ি,থ্রিপিস,লেহেঙ্গা,মোবাইল,ফোন,মদ,ইয়াবা,ফেন্সিডিল,সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য।

ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে।মান্নান মেম্বারের নেতৃত্বে চলছে চোরাচালান ব্যবসা।

তারা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসকল পন্য সামগ্রী নিয়ে আসছে নিরাপদে নেই কোন বাধা।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সাথে তারা চালিয়ে যাচ্ছে চোরাচালান ব্যবসা। আর লাভবান হচ্ছেন লাইনম্যানসহ প্রসাসনের অসাধু ব্যক্তিরা।

একেক সময় একেক পথ ব্যবহার করে ভারত থেকে আনা ভারতীয় পণ্য ও মালামাল দামি দামি,ব্র্যান্ডের মালামাল নিয়ে আসছে, কাটুনের ভিতরে কেউ তা খুলে দেখেন না। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে রয়েছে মেম্বার বাহিনীর লাঠিয়াল বাহিনী তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে নারাজ। কেউ মুখ খুললে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখান এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদেরকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এই তিন লাইন ম্যান।

এলাকার সাধারণ জনতা ও সচেতন নাগরিকরা এদের কাছ থেকে রেহাই পেতে চান, প্রশাসনের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকার কারণে মন্নান মেম্বার দাপটের সাথে চোরাকারবারীও চোরাচালান ব্যবসীদের কাছ থেকে প্রতি কিট থেকে টাকা চাঁদা আদায় করতে সক্ষম।অল্প কয়েকদিনে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নেন এই সিন্ডিকেট।

এমনকি প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চালাচ্ছে পাচার যজ্ঞ। সীমান্তের চোরাচালান সিন্ডিকেট মন্নান মেম্বারের হাতে। তার ইশারায় চলে সিলেটের জাফলং সীমান্ত কেন্দ্রীক সব চোরাই কাজ।

সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ সিগারেট, বিয়ারসহ হরেক রকমের নিষিদ্ধ বার্মিজ পণ্য অর্থের বিনিময়ে চোরাইপথ দিয়ে সিলেট নগরের চোরাকারবারিদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকজন জানিয়েছেন, চোরাকারবারিদের মধ্যে যারা মন্নান মেম্বারকে ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় মালামাল প্রবেশ করতে চেষ্টা করে, তাদের নিকট থেকে মালামাল কেড়ে নিয়ে তার নিয়ন্ত্রণে রেখে দেয়। প্রয়োজনে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে কেড়ে নেওয়া মালামাল লুট করে নেয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আর ভারত থেকে চোরাই পথে কোটি কোটি টাকার মালামাল বাংলাদেশ আসছে।আর তাতে বাংলাদেশ সরকার হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। তামাবিল ও সংগ্রাম সীমান্তের লালমাটি ,ও গুচ্ছ গ্রাম, আমতলা, সোনা টিলা, তামাবিল স্থলবন্দর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে আসছে নিরাপদে। এবিষয়ে জানতে তামাবিল ক্যাম্প কমান্ডারের মুঠোফোনে ফোন দিলে উনি জানান এ বিষয়ে আমি অবগত নয় বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডারের মোঠুফোনে একাদিগ বার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি সেই জন্য বক্তব্য নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে গোয়ানঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম জানান আমার পুলিশদের জানিয়ে দিয়েছি ভারতীয় কোন মাল প্রবেশ করবে না ভারতীয় মাল প্রবেশ নিষিদ্ধ চোরাই পথে কোন মাল বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তা অভিযান চালানো হবে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন