বিশেষ প্রতিবেদক::সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে চোরাকারবারিদের কোন ভাবে ধমণ করতে পারছেনা স্থানীয় প্রশাসন।বরং প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্তে
বেড়েই চলছে নাজিম,উদ্দীন,শ্যামকালা,জয়দুল,জুবের, মসাহিদ বাহিনীর অত্যাচার।স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে ম্যানেজ করে এহন কোন কাজ করতেও পিচপা হচ্ছেনা না এই বাহিনী।
এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সীমান্ত এলাকার ব্যাবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।এই বাহিনীর অন্যতম প্রধান অসাধু ব্যক্তিদের লাইনম্যান নাজিম উদ্দীন,সে যুবলীগের রাজনিতি করে বলে তাদের বিরুদ্ধে কেও কথা বলেনা।এই বাহিনীতে আছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাতিরখাল গ্রামের দিনমজুর মোশাহিদ আলীর ছেলে শ্যাম কালা। হাতিরপার গ্রামের জুবের,মসাহিদ,।
নাজিম উদ্দীন এরই মধ্যে মাদক মামলাসহ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার হয়।এখনো তার বিরুদ্ধে মাদক মামলার পাশাপাশি নির্যাতন,জবর দখলসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।গত বছরে মাদক মামলায় জেলে যায়।
পরবর্তীতে নাজিম উদ্দীন কারাভোগ করে বের হয়।এরপরেও থেমে থাকেনি নাজিম বাহিনীর তান্ডব। এখন পর্যন্ত চোরাচালানের পাশাপাশি প্রসাসনের লাইনম্যান হয়ে সিমান্তে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে আসছে তার বাহিনীর সদস্যরা। সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে জাফলং পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে নাজিম বাহিনীর সদস্য জুবের ও শ্যাম কালা।
সীমান্তে বেশ কয়েকবার বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচিত হয়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেট। কয়েকবার তার নেতৃত্বেই তামাবিল এলাকায় বিজিবি’র ওপর হামলা চালানো হয়েছিলো। এরপর বিজিবি’র পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। অবশেষে সেই‘বোঙারী’নাজিমকে গ্রেপ্তার করেছিল বিজিবিই।
রাতের আঁধারে ভারত থেকে মাদকের চালান নিয়ে আসার সময় বিজিবি জওয়ানরা তাকে আটক করে। তামাবিল এলাকার গুচ্ছ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নামধারী যুবলীগের নেতা নাজিম। তার নেতৃত্বে চোরাচালানি চক্রের শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে গোয়াইনঘাট,তামাবিল,জাফলং এলাকায়। জয়দুলসহ অন্তত ৩০-৩৫ জনের এ সিন্ডিকেটের নেতা বোঙারী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন,তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে যায় মটরশুঁটি,স্বর্ণসহ নানা জিনিস। আর বাংলাদেশে আসে ভারতীয় মদ, কসমেটিক্স, মোটরসাইকেল, ইয়াবা,অস্ত্র, টিস্যু কাপড় সহ নানা পণ্য। প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার এলাকা একাই নিয়ন্ত্রণ করে নাজিম উদ্দিন। স্থানীয় সংগ্রাম ফাঁড়ির বিজিবি জানায়, সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ির নিকটবর্তী এলাকায় মাদকের চালান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলো নাজিম ও তার সহযোগীরা।
এ সময় বিজিবি’র সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে থাকা চোরাকারবারিরা পালিয়ে গেলে নাজিম বিজিবি’র জওয়ানদের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এ সময় বিজিবি তার কাছ থেকে ৪০ বোতল ভারতীয় মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- তামাবিল ও জাফলং এলাকার চোরাকারবার নিয়ন্ত্রণ করে জাফলংয়ের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট টাকার বিনিময়ে চোরাচালানের লাইন বিক্রি করে। ২০-২৫ লাখ টাকায় এই লাইন বিক্রি করা হয়। আর লাইনের মাধ্যমে চোরাচালানের সব মালামাল ভারতে প্রবেশ করে এবং আসেও।
জাফলংয়ের সচেতন মহলের দাবি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই চোরাকারবারি গডফাদার নাজিম উদ্দিনের চাঁদাবাজির খুঁটির জোর কোথায়। এই পাচ কুতুবের আশির্বাদে বেপরোয়া গোয়াইনঘাট উপজেলার চোরাকারবারিরা।
এদিকে গরু মহিষ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন ইবু ও হয়রত আলী। তারা গরু প্রতি ১ থেকে ৩ হাজার টাকা করে আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, চোরাকারবারিদের কাছ থেকে নাজিম সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা টাকা দাবি করে।
টাকা না দেওয়ার কথা বললে নাজিম উদ্দিন ও তার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা মালামাল আটক করে। জাফলংয়ের সচেতন মহলের দাবি জাফলং সীমান্তের আতঙ্কের আরেক নাম নাজিম উদ্দিন সিন্ডিকেট পরিবারের সদস্যদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনতে পারলে ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এদিকে ক্রমেই বাড়ছে চাদাবাজি নাজিম সিন্ডিকেটের চোরাকারবারিদের চোরাচালান কর্মকাণ্ড। এর ফলে বছরে সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।
নাজিম উদ্দিন প্রতিনিয়ত ধরা পড়ে জেলে গিয়ে সাজাও হচ্ছে তাতেও তেমন লাভ হচ্ছে না। আইনের ফাঁক ফোকরে সে আবার ছাড়া পেয়ে বের হচ্ছে। বের হয়ে আবারো পুরনো কাজে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু তাতেও দমানো যাচ্ছে না তাদের। এব্যাপারে জানতে যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দীন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন