বিশেষ প্রতিবেদক:সিলেটের গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া ওরফে শ্যাম কালার খুঁটির জোর কোথায়?কালা মিয়া গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাতির খাল গ্রামের দিনমজুর মোশাহিদ আলীর ছেলে। পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে কালা দ্বিতীয়।
জন্মসূত্রে দারিদ্রতার করাঘাতে বেড়ে উঠা কালা মিয়ার শৈশব শুরু হয় পিতার সাথে কাজের যোগান দিয়ে।
পরবর্তীতে বারকী শ্রমিক হিসেবে পাথর উত্তোলনের কাজ করতো সে।
পশ্চিম জাফলং সীমান্তবর্তী এলাকা হবার সুবাদে ধীরে ধীরে কালার সখ্যতা গড়ে উঠে ছিচকে চোরাকারবারিদের সাথে, এই সখ্যতার সুবাদে কালা মিয়ার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে।
প্রথমে নিজে জায়গায় উপস্থিত থেকে চোরাচালানকৃত মালামাল চোরাকারবারিদের কথামতো অন্য জায়গায় পৌঁছে দিতে কালা।
তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি তাকে।
যে ঘরে আগে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো সেই ঘরে এখন আলীশান অবস্থা। বিগত দুই বছরে কালা মিয়া ওরফে শ্যাম কালা’র আঙ্গুল ফুলে রাতারাতি কলাগাছ হয়ে গেছে।
দুই বছরের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার মালিক এখন কালা মিয়া।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের সূত্রে জানা যায় বর্তমানে কালা মিয়া নিজে আড়ালে থেকে ডিবি পুলিশের লাইনম্যান হয়ে চোরাকারবারিদের মালামাল পরিবহনের পর জুবেরকে নিয়ে কালা নিজেই গড়ে তোলে তার এক বিশাল চোরাকারবারি সিন্ডিকেট ও নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী।
স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জুবেরের মাধ্যমে অবাদে চালিয়ে যাচ্ছে তার চোরাচালান বাণিজ্য। এহেন কোন ভারতীয় পণ্য নেই যা অবৈধভাবে পাচার করে না কালা সিন্ডিকেটের জুবের।
ভারতীয় শাড়ি কসমেটিক্স,মোটর সাইকেল, ইয়াবা, ফেন্সিডিল,মদ সহ ভারতীয় সবকিছুই পাঁচারের সাথে জড়িত কালা ও জুবের সিন্ডিকেট।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গেও জড়িত কালা মিয়া ও তার সহযোগী হাতির পার গ্রামের জুবের।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলংএর সোনারহাঁট সীমান্তকে চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে কালা।
এ ধরনের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। আদতে জামায়েত বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও কালা মিয়া বর্তমানে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তার ক্ষমতা দেখাচ্ছে ও চোরাচালান বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
এখানে কালা মিয়ার কথাতেই চলে সবকিছু। তার এহেন অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলেই এলাকার লোকজনের উপর অত্যাচার শুরু করে কালা’র লাঠিয়াল বাহিনী।
এলাকার অনেকেই অভিযোগ করে বলেন যে বা যারাই কালার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে,তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে কালা মিয়া।
কখনো পুলিশ দিয়ে,নতুবা মিথ্যা মামলা দিয়ে, নতুবা তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে।
সবচাইতে অবাক করা বিষয় হচ্ছে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সোনারহাট সীমান্তের কুখ্যাত চোরাকারবারি কালা মিয়া ওরফে শ্যাম কালার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায় স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কালা মিয়ার খুব অন্তরঙ্গ ছবি তার ফেসবুক প্রোফাইলের টাইমলাইনে ঝুলছে।
সচেতন মহলের প্রশ্ন হচ্ছে একজন চিহ্নিত চোরাকারবারির সাথে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছবি কিসের ইঙ্গিত বহন করে?
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে কালা মিয়া ওরফে শ্যাম কালার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন– আমি এখন লাইনে নাই। জুবের লাইন চালায়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,কালা মিয়া কে তা আমরা চিনি না।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন