• ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

গোয়াইনঘাটে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর বিতর্কে উপজেলা যুবলীগ!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত আগস্ট ১, ২০২৩
গোয়াইনঘাটে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর বিতর্কে উপজেলা যুবলীগ!

গত সোমবার রাতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী যুবলীগের নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেয় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি।

নতুন কমিটিতে বিএনপির রাজনীতিকরে আসা লোকদের পদ-পদবী দিয়ে উপজেলার ছয় ইউনিয়নে যুবলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করায় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ছয় ইউনিয়ন যুবলীগের নতুন আহবায়ক কমিটিতে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত লোকজনের পদ-পদবি দিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়ায় উপজেলার অন্যন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঝাড়ু ও জুতার মিছিল নিয়ে প্রতিবাদের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ফারুক আহমদ এর ছবিতে লাল কালির ক্রস দাগ ব্যবহার করে অন্যন্য আওয়ামিলীগ কর্মীদের ফেইসবুক আইডিতে বিভিন্ন অরুচিপূর্ণ মন্তব্য লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে দেখা গেছে।

১২নং গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন যুবলীগের নতুন কমিটির সদস্য এম সালেহ আহমদ তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেন, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি হেরে গেলো আজ টাকার কাছে, তিনি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির দুই নেতার ছবি দিয়ে লিখেন,অভিনন্দন নেতাজি দেখা হবে গোয়াইনঘাটের রাজপথে ইনশাআল্লাহ।

রুবেল আহমদ উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন,পূর্ব জাফলং যুবলীগের আহবায়ক কমিটিতে জাতীয় নির্বাচনসহ্ স্থানীয় সকল সকল নির্বাচনে নৌকা বিদ্বেষীদের জয়জয়কার।

আওয়ামী যুবলীগ নেতা সিরাজুদ্দৌলা সুমন লিখেন,গোয়াইনঘাট উপজেলায় যুবলীগ টাকায় বিক্রি হয় এই ই ই লাগবে যুবলীগ লাগবে,১/আহবায়ক-১৫০০০০/- ২/যুগ্ন আহবায়ক-১০০০০০, ৩/যুগ্ন আহবায়ক-৫০০০০/-যার যায় লাগবে আমাকে বলবেন আমি নেতাদের কাছ থেকে যুবলীগের পদ-পদবী এনে দিবো।জুবায়ের আহমদ শামীম নামের এক ব্যক্তি তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেন, ফারুক ভাই দলকে ব্যবহার করে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন।

চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকা পেয়েও শুধু ব্যক্তি জনসমর্থন না থাকায় নৌকানে ডুবিয়েছেন। আবার গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবলীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। আপনার যদি দলের প্রতি কোন অনুগত থাকে তাহলে যুবলীগের পদ ছাড়েন।সংগঠন কি আপনার বাপের কিনা?একই লোককে একই পেডে দুই পদে রেখে সংগঠনকে বিতর্কিত করা?

এবিষয়ে স্থানীয় আওয়ামিলীগের একজন নেতা ও জনপ্রতিনিধি জানান,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফারুক আহমদ এর পিতা বিএনপির কৃষকদলের রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং ২০০০সালের বিএনপি ঘোষিত কৃষকদলের একটি প্যাড তুলে ধরেছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলা জুড়ে আওয়ামিলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীর এমন সমালোচনার ঝড় তুলেছেন দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অন্যদিকে পদ-পদবী পেয়ে অনেকে উপজেলা আহবায়ক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফারুক আহমেদ এর ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এটা যেহেতু সাংগঠনিক বিষয় আমি এই বিষয়ে পরে কথা বলবো।

ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক শাহাবুদ্দিনের সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি প্রতিবেদকের ফোনকলের রেসপন্স করেন নি বিধায় তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •