সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না।জয়দুলের নেতৃত্বে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া ভাবে ভারতীয় চোরাচালান দেশে নিয়ে আসছে।
অনেক ক্ষেত্রে জয়দুল চোরাকারবারীদের কাছ থেকেও নিয়মের অতিরিক্ত টাকা আদায় করার চেষ্টা করেন,ফলে চোরাকারবারীরা জয়দুল বাহিনীর সাথে একের পর এক সংঘর্ষ করে যাচ্ছে।তবে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পুলিশ বিজিবির নামে তাদের চাঁদাবাজি।
জয়দুল বাহিনীর এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট চোরাকারবারীরা। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,জয়দুলকে গ্রেফতারের বদলে স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বুঙ্গাড়ীদের চুক্তি মাধ্যমে কিছু সংখ্যাক গরু-মহিষ এবং হাতে গুনা কয়েক বস্তা ভারতীয় পণ্য আটক করে জনসাধারনের আইওয়াশ করছে বলে জানান।
তাও নাম মাত্র এক দুটি চালান আটক করেন।কিন্তু স্থায়ী ভাবে বন্ধ ও বড় ধরণের কোন অভিযান দিতে দেখা যায়নি।
ভারতীয় পণ্য থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করছে বিজিবি ও পুলিশের অবৈধ আয়ের হাতিয়ার জয়দুল।
সীমান্তের ৪৮ বিজিবির অধীনে জাফলং সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে আসছে চোরাচালান। নিরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
তবে চোরাচালাদের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠে রয়েছে সিলেট র্যাব-৯ এর সদস্যরা। এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিজিবি’র নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছে লাইনম্যান ও মানবপাচারকারিজয়দুল,বিজিবির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এই টাকার লেনদেন নিয়ে কয়েকদিন পড়পড় দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে তাদের ও চোরাকারবারীদের মধ্যে। অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন পশুরহাটবাজার।
এখানেও রয়েছে চোরাকারবারীদের প্রভাবশালী লাইনম্যানরা ।তারা আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্র-ছায়ায় রয়েছেন।
ইতোমধ্যে লাইনের চাঁদা নিয়ে জাফলং সীমান্তে ২টি গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। লাইনম্যান পরিচয়দানরী জয়দুল তারা চোরাকারবারীদের প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিনিময় রাতের আধারে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা দিচ্ছেন চোরাকারবারীরা। বানের পানির মত সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় নাছির বিড়ি মদ,ইয়াবা,মোটরসাইকেল গাড়ি, মোবাইল ও কসমেট্রিক্স গবাদিপশু গরু সহ ইত্যাদি সামগ্রী।
কিন্তু জয়দুলের নেতৃত্ব থাকার কারণে কোন চোরাকারবারীর অবৈধ পণ্য আটক করেন না বিজিবি ও পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,জয়দুল মিয়া, চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারা বিজিবি ও পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে। যারফলে লাইনম্যান জয়দুলের জন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনতে এই অবৈধ লাইনে চাঁদাবাজ হয়ে আসছেন জয়দুল মিয়া।
প্রতিদিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত এলাকায় মহড়া দিতে থাকে জয়দুল মিয়া ও তাদের একটি বিশাল বাহিনীর সদস্যরা। যার ফলে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সংগ্রাম ও তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন ১২৭২নং আন্তর্জাতিক পিলার হতে ১২৬৪নং পিলার এলাকা। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই এলাকার সুযোগ সুবিধা ভালো।
২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বর্ডারের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিনা বাঁধায় ঢুকতে পারে চোরাকারবারীদের গাড়ী সমুহ। নির্ধারিত টাকা লাইনম্যান জয়দুল মিয়ার নিকট পরিশোধ করার পর পর কয়েক মিনিটের মধ্যে সীমান্তের সোনাটিলা, গুচ্ছগ্রাম, তামাবিল, জিরো পয়েন্ট, অন্যতম।
সুযোগ সুবিধা ভাল থাকায় উপজেলার এই রোড গুলোদিয়ে অন্তত ১০ হতে ১৫ কোটি টাকার ভারতীয় মটর সাইকেল, মোবাইল হ্যান্ড সেট, শাড়ী, মহিষ,গরু, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, ফেন্সিড্রিল, বিভিন্ন ব্যান্ডের অফিসার চয়েস মদ, আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারী, বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশী শাকসবজি, ঢাল, নারী। বুঙ্গাড়ীদের গরু-মহিষের চালান আসছে এই গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ইজারাদাররা।
এ ব্যাপারে জানতে চোরাকারবারি জয়দুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে চোরাচালানের কথা শিকার করে বলেন আমি সামসুর কাজ করি তার সাথে কথা বলেন।চলমান…!
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন