• ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

একজন মানবতার ফেরিওয়ালা বিয়ানীবাজারের সোহেল

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুলাই ২২, ২০২৩
একজন মানবতার ফেরিওয়ালা বিয়ানীবাজারের সোহেল

সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে এদেশে অসংখ্য তরুণ নিরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন।আত্মপ্রচার নয়,আত্মতৃপ্তিই যাঁদের মূল উদ্দেশ্য।মানবতার কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া তেমনই একজন সোহেল আহমদ।

মূলত তিনি আপাদমস্তক একজন ভ্রমণপিয়াসু।বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ান দেশের নানা প্রান্তে-পাহাড়-পর্বত,বন-জঙ্গলে।

ভ্রমণে আসা যাওয়ার মাঝে কোনো গরিব পথচারী,পথশিশু চোখে পড়লে তাদের সাহয্য করে থাকেন প্রায়ই।

সোহেল আহমদ বলেন,আমি খুব ট্রাভেল করি,বাইক নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াই;আর আসা-যাওয়ার মাঝে যতটুকু পারা যায় গরিব মানুষদের সাহাঘ্য করে থাকি।এক সময় মনে হলো আমার এ কাজ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেই,হয়ত আরও অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে,তারাও তেমন কাজ করবে।

সোহেল আহমদ বাইক নিয়ে কোথাও যাওয়ার পথে ছোট্ট শিশুরা দৌড়ে কিছু বিক্রি করতে এলে তাদের থেকে বিশ টাকা মূল্যের জিনিস নিয়ে বিনিময়ে দিচ্ছেন একশত টাকার নোট।আবার গরিব দুঃস্থদের সঙ্গে নিয়ে দোকান থেকে কিনে দিচ্ছেন চাল,ডাল,পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য;বস্ত্রহীনদের কিনে দিচ্ছেন জামাকাপড়।

যতটুকু জানা গেছে সোহেল আহমদ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সন্তান।

সোহেল আহমদ এর ব্যাপারে তার কাছের বন্ধু মহল থেকে জানা যায়‘আমরা এ মানুষটির মানবিক কাজ দেখে মুগ্ধ হই।

বর্তমান সময়ে যেখানে সবকিছুতেই সো-আপ আর লোক দেখানো মানবসেবার এ সত্যিকারের একজন মানবতার ফেরিওয়ালা।

আর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এই ভাইটি আমাদের বিয়ানীবাজার উপজেলার সারপার গ্রামের সন্তান।তার জন্য অনেক ভালোবাসা এবং শুভ কামনা।’

সোহেল আহমদ,বিয়ানীবাজার  উপজেলার সারপার গ্রামের মরহুম মোক্তার আলীর দ্বিতীয় সন্তান।পিতার আদর্শকে লালন করে তিনি প্রায় এক যুগ ধরে মানবসেবায় কাজ করে আসছেন।

স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ বৃক্ষরোপণ,পরিচ্ছন্নতা অভিযান, পরিবেশ আন্দোলন,খেলাধুলা ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে তিনি সম্পৃক্ত। ৩৫ বছর বয়সে নিজে রক্ত দিয়েছেন ১৮ বার।

শুধু নিজের শরীর থেকে রক্ত দেয়ার মধ্যেই তিনি সীমাবদ্ধ থাকেননি,অন্যের জীবন বাঁচাতে রক্ত সংগ্রহ করতে নানান ধরনের চেস্টা করে থাকেন।

সোহেল আহমদ আরও বলেন রক্ত দিয়েই মানবসেবা করে যাচ্ছি।মানবসেবার এ যাত্রায় আমার আপন বড়ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

তিনি বলেন,‘রক্ত দিন জীবন বাঁচান’ এই মূলমন্ত্র হৃদয়ে ধারণ করে ছাত্রজীবন থেকেই মহৎ কাজটি করে যাচ্ছেন। তার কাজের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম অনুপ্রেরণা পাবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন