কোম্পানীগঞ্জ সংবাদদাতা :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অভিযান চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিক আল শাফিন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ধলাই নদীর দয়ারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অভিযান চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। উপজেলা ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী তাতে অংশ নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এসিল্যান্ডের নির্দেশে দয়ারবাজারসংলগ্ন ঘাটে রাখা বারকি নৌকা ভাঙা হচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় হিজড়ারা নৌকাগুলো তাঁদের দাবি করে ভাঙতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁরা এসিল্যান্ডের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও করছিলেন এক যুবক। তাঁকে ধরতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হাঁটুপানিতে পড়ে যান। পরে আটক ওই যুবককে ছাড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটের ধস্তাধস্তি হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি গিয়ে এসিল্যান্ডকে উদ্ধার করেন।
এদিকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভূমি অফিসের কর্মচারী সুকুমার রায় বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন নুরুল হক, রাসেল আহমদ ও আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিক আল শাফিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, সাদা পাথর পর্যটন স্পট থেকে চোরাই পাথর দয়ারবাজারসংলগ্ন একটি ঘাটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গোপন সূত্রে পাওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাতে বাধা দিলে কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। এখানে ধস্তাধস্তি বা হামলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় এ বিষয়ে বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন