• ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

গরু চুরি করে জবাই,বাবা-ছেলে কারাগারে

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
গরু চুরি করে জবাই,বাবা-ছেলে কারাগারে

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক কৃষকের গরু চুরি করে জবাই করার ঘটনায় আদালত বাবা-ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এর আগে দুপুরে পুলিশ বাবা-ছেলেকে আদালতে সোপর্দ করে।

এসময় তারা আদালতে গরু চুরি করে জবাইয়ের কথা স্বীকার করেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠায়।বড়লেখা থানার উপ পরির্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, বাবা-ছেলে গরু চুরির কথা আদালতে স্বীকার

করেছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাদের কাগারারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।আসামিরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের নাজিরখা গ্রামের নাজিম উদ্দিন(৪৫)ও তার ছেলে এমদাদুল হক মুন্না(১৮)।

গত সোমবার(২৩ জানুয়ারি)উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ঝগড়ি গ্রামের কৃষক মতিলাল দাসের গরু চুরি করে জবাই করার অভিযোগে পুলিশ বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিন রাতেই গরুর মালিক কৃষক মতিলাল দাস বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সুজানগর ইউনিয়নের ঝগড়ি গ্রামের কৃষক মতিলাল দাস প্রতিদিনের মতো গত রোববার (২২ জানুয়ারি) তার ছয়টি গরু শিয়ালী বিলের পাশের জমিতে ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখেন। ওইদিন দুপুরে মতিলাল গরুগুলো আনতে গিয়ে দেখেন ছয়টি গরুর মধ্যে লাল রঙের ষাঁড়টি নেই। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে ওইদিন বিকেলে একটি ঝোপের পাশে জবাই হওয়া গরুর

ভুড়ি ও চামড়া দেখতে পান। গরুর রঙ ও দড়ি দেখে গরুটি তার বলে তিনি নিশ্চিত হন। তখন তিনি ধারণা করেন গরুটি নাজিম উদ্দিন গংরা চুরি করে জবাই করেছে। এরপর বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। পরে ইউপি সদস্য ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বড়লেখা থানার এসআই আতাউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে নাজিম উদ্দিনের ঘরে তল্লাশি করেন। এসময় নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে এমদাদুল হক মুন্নাকে আটক করা হয়। পরে তাদের ঘরের ফ্রিজ

থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো প্রায় ১৫ কেজি গরুর মাংস জব্দ করেন। পরে নাজিম ও তা ছেলে মুন্না গরু চুরি ও ঘটনার সঙ্গে নাজিরখা এলাকার কামরান আহমদ ও ছলিম উদ্দিন জড়িত বলে স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যে শিয়ালী বিলের পাশ থেকে জবাই করা গরুটির মাথা উদ্ধার করা হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন