আজ ১৬ অক্টোবর ২০২২ইং রোজ রবিবার সিলেট মহামগর দায়রা জজ আবুল কালাম চৌধুরীর আদালতে এ কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্র পক্ষের পিপি অ্যাড.মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান,পুলিশের উপর হামলার মামলায় দণ্ডবিধির ধারায় ১২২ আসামিকে ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সকল আসামি পলাতক রয়েছেন।এছাড়া ১১জন আসামিকে বেখসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী অ্যাড. শাহজাহান কবির বলেন, দণ্ডিতদের মধ্যে সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ।
মামলার বরাত দিয়ে অ্যাড শাহজাহান কবির বলেন,দণ্ডবিধির ধারায় দায়েরকৃত ফৌজদারী মামলা যাহা দায়রা মামলা নং ১২/২০১৮ইং, এয়ারপোর্ট থানার মামলা নং ১০ তাং ১০/১১/২০১২ই ,এয়ারপোর্ট জি.আর মামলা নং ১৯৯/১২ইং,ধারা ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৩২/৩৫৩/৩০৭ পেনাল কোড মোতাবেক মাননীয় আদালত আসামিদেরকে যে সাজা দিয়েছেন আমি মনে করি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বলে এ মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,২০১২ সালের ১০ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটায় ৩০০/৫০০জন জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে দলবেধে দেশীয় অস অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দর্শনদেউরী হাউজিং এস্ট্রেট এর গেইট এর সামন থেকে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। এসময় মামলার বাদী এসআই খোরশেদ আলম সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৌঁছামাত্র জামাতশিবির নেতাকর্মীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এরপর আসামিরা আম্বরখানা-সুনামগঙ্জ রোডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাণ্ডব শুরু করে।এসময় তারা পুলিশকে টার্গেট করে ইট-পাটকেল মারতে থাকে।তাাদের নিক্ষিপ্ত ইট-পাটকেলে পুলিশের গায়ে লাগলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।এরপর পুলিশ তাাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার জন শটগান দিয়ে গুলিবর্ষণ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।আসামীগন আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ শুরু করে।পরে বাদী এই অবস্থার কথা উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানালে আরও ফোর্স পাঠিয়েয় জামাতশিবির নেতাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এ ঘটনায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার এসআই এসআই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলা করেন।পরবর্তীতে মামলার আই ও এস আই আব্দুল আলিম জামায়াত-শিবির ও অঙ্গ সংগঠনের ১৩৩ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন