সিলেট নগরীতে মসজিদের সামনে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
মুসল্লীদের যাতায়াতের জন্য হকার না বসানোর জন্য প্রতিবাদ করায় বিস্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের ছাত্র নাজিব সালাম নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ৮ তারিখ সোমবার রাতে নয়াসড়ক মসজিদের সামনে ফল ব্যবসায়ী,সবজি ব্যবসায়ী হকারদের বসতে বাধা প্রধান করলে এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্র নাজিব সালাম ও মুসল্লীদের সাথে সন্ত্রাসী রাফি,ও বিএনপি নেতা মিলাদসহ আরো কয়েকজনের,মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে হাতাহাতির মাধ্যমেই পূর্ব থেকে ওতপাতা সন্ত্রাসী রাফি,মিলাদসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মিলে নাজিব সালামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এসময় নাজিব সালামের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যপারে কোতোয়ালি থানায় এডভোকেট আব্দুস সাদেক বাদি হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনমা তিন চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এডভোকেট সাদেক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন।আসামীগণ মসজিদ কমিটির কোন সদস্যকে না জানাইয়া এবং মসজিদের দানে কোন অর্থ জমা না দিয়া নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হইয়া নয়াসড়ক জামে মসজিদের প্রবেশ মুখের সম্মুখে ভ্যানগাড়ির ভাসমান সবজি ও ফলের দোকান বসাইয়া মুসল্লিদের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করিতেছে।
এমতাবস্থায় গত০৮/০৮/২০২২ ইং তারিখ অনুমান রাত ১০টার সময় আমার বড় ভাই ও আমার চাচাতো ভাই নয়াসড়ক জামে মসজিদের সম্মুখে সমূহ আসামীগণকে পাইয়া মসজিদের সম্মুখে এইভাবে বাজার বসাইয়া মুসল্লিদের বিরক্ত করিতে নিষেধ করেন।
ইহাতে সমূহ আসামীগণ উত্তেজিত হইয়া অতর্কিত আমার বড় ভাই আব্দুস সালাম(নানু)উপর আক্রমণ করে।
মিলাদ ও রাফিসহ তাদের সাথের অজ্ঞাতনামা আসামীগণ আমার বড় ভাইকে সারা শরীরে এলোপাতাড়ী কিলঘুষি ও লাথ মুরকর মারিয়া লীলা ফুলা জখম করে।
তার উক্ত সংবাদ পাইয়া আমার ভাতিজা কলেজ পড়ুয়া ছাত্র নাজিব সালাম তাহার পিতাকে রক্ষার জন্য আগাইয়া আসিলে আসামী আব্দুল মুবিন প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে রড দিয়া আমার ভাতিজার মাথার সম্মুখভাগে বাড়ি মারিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।
এই সময় আরেক আসামী মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য রাখা কাটা তার গলায়
পেচাইয়া প্রাণে মারার চেষ্টা চালায়।গলায় ও ঘাড়ে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম হয় এবং জখমি স্থান হইতে অনর্গল রক্ত ঝড়িতে থাকে।
এই সময় আসামী মিলাদ অন্ধ করিবার উদ্দেশ্যে ২নং স্বাক্ষীর বাম চোখে আঙ্গুল দিয়া চাপ মারিয়া রাখিয়া ২নং স্বাক্ষীর
বাম চোখে মারাত্মকভাবে জখম করে।
এই সময় ৪নং স্বাক্ষী সোহাগ ১-২নং স্বাক্ষীকে রক্ষার জন্য আগাইয়া আসিলে ৩নং আসামী উক্ত স্বাক্ষীর কোমরে লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলিয়া তাহার সারা শরীরে এলোপাতাড়ী লাথ মুড়কর মারিয়া মারাত্মক লীলা ফুলা জখম করে।
জথমিগণের শোরচিৎকারে আশপাশ লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীগণের কবল হইতে জখমিগণকে রক্ষা করতঃ ১ ও ৪নং জখমি স্বাক্ষীকে স্থানীয় ফার্মেসীতে নিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
২নং জখমী স্বাক্ষীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাহাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহাকে উক্ত হাসপাতালের ১১নং ওয়ার্ডের NX28 নং বেডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। তাহার হাসপাতাল রেজিস্ট্রেশন নং-২২৯৫৬।
আসামীগণের আঘাতের কারণে আমার ভাতিজা২নং স্বাক্ষীর অবস্থা আশংকাজনক।
আমি সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া জখমি ও স্বাক্ষীদের নিকট হইতে বিস্তারিত ঘটনা অবগত হই।
মসজিদের এবং রাস্তার ইলেকট্রিক খুটির লাইটের আলোতে সমূহ আসামীগণকে স্পষ্ট চেনা গিয়াছে।
অজ্ঞাতনামা আসামীদের পরবর্তীতে দেখিলে স্বাক্ষীগণ চিনতে পারিবেন।তবে এব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন