সিলেটের মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকায় অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একাধিক তীর জুয়াসহ নানা অপরাধের স্পট গড়ে উঠায় উদ্বেগে আছেন এই এলাকার সচেতন বাসিন্দারা।
জানা গেছে,জুয়ার টাকার লোভে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া ছেলেরা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
প্রশাসন মাঝে-মধ্যে এসব ক্রাইম স্পটে অভিযান চালালেও মূল অপরাধীরা থেকে যায় আড়ালে। ক্রাইম স্পটগুলোতে প্রকাশ্যে চলে ভারতীয় তীর শিলং জুয়া, টিকটিকি, জান্ডুমান্ডু,তিন তাস,কাটাকাটি ও ইন্ডিয়া লটারি। এছাড়াও এসব স্পটে একটি চক্র প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে।
মাঝে-মধ্যে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,দক্ষিণ সুরমার লালা বাজারে বিগত দিনে এসব অপরাধ প্রবনতা কমলেও বর্তমানে তা বিস্তার লাভ করে চলেছে।
লালা বাজারের পশ্চিমে ভালকির টিলা এলাকায় রমরমা জুয়ার আসর।সেই আসরটির মালিক মুজিব।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় লালাবাজারের পশ্চিমে ভালকির টিলায় জুয়াড়িদের আস্তানা আর এই জুয়ার আস্তানার মদতদাতা হলো স্থানীয় গোজা ফজলু,শানুর,সুহেল,ডা:বাছিদ টিলার মালিক আলতা,মুনায়েম খান বাবুল,
দক্ষিণ সুরমায় প্রকাশ্যে এসব জুয়ার আসরে প্রশাসনের অভিযান চলার পরেও কি করে অপরাধীরা ছাড়া পায় এবং ছাড়া পাওয়ার পর আবারও অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় এই নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,আমাদের দক্ষিণ সুরমায় কিশোররা যেভাবে অপরাধের সাথে লিপ্ত হয়েছে তাতে ভবিষ্যতে তারা বড় ধরণের অপরাধীতে পরিণত হবে।
এদের দ্বারা দেশ ও জনগণের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হবে। বিভিন্ন কলোনিতে বসবাসরত কিশোরদের সঙ্গ নিয়ে তারা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।এখনই তাদের দমন না করলে কিশোর প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন-পুলিশ ও কিছু অসাধু প্রভাবশালী মহল নিয়মিত এসব স্পট থেকে বখরা নেন।এসব কারণে জুয়াড়িরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মাদক ও জুয়ার আসরের জন্য লালাবাজার ফেমাস হয়ে উঠেছে।
তবে এসব জুয়াড়িদের উপরে ডজন ডজন জুয়ার মামলা হলেও থামছেনা জুয়াড়ীদের দৌরাত্ন।
সম্প্রতি র্যাবের বিশেষ অভিযানে দক্ষিণ সুরমার বেশ কয়েকটি চিহ্নিত জুয়ার আসর বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি লালাবাজারের পশ্চিমপারে ভালকির টিলায় মুজিব,গোজা ফজলু,শানুর,সুহেল,টিলার মালিক দাবিদার আলতা,ও বাছিদের জুয়ার বোর্ড।
স্থানীয়রা আরো জানান,এই চক্রটি দীর্ঘ দিন থেকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে জুয়া পরিচালনা করে আসছে।
তবে এব্যাপারে জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের বাছিদ মিয়া নামের একজনের সাথে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি তাদের কাউকেই চিনিনা।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন