• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ওসমানী নগরে প্রবাসী পরিবারের ৫ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, মৃত ২

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুলাই ২৬, ২০২২
ওসমানী নগরে প্রবাসী পরিবারের ৫ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, মৃত ২

ওসমানীনগর প্রতিনিধি: সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী একটি পরিবারের ৫ সদস্যকে অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ৩ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর বাজারের মঙ্গলচন্ডি রোডের একটি বাসায় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন, রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার পূত্র মাহিকুল ইসলাম (১৬)। অসুস্থ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন উপজেলার দিরারাই গ্রামের রফিকুল ইসলাম।

অসুস্থ ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসার জন্য গত ১২ জুলাই পরিবারটি দেশে এসে এক সপ্তাহ ঢাকায় থাকে। চিকিৎসা শেষে গত ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুর মঙ্গলচন্ডী বাজার রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন তারা। গতকাল সোমবার রাতের খাবার শেষে প্রবাসী রফিকুল স্ত্রী সন্তানসহ একটি কক্ষে এবং রফিকুলের শ্বশুড়-শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও মেয়ে অন্যান্য কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।

আজ সকালে ডাকাডাকি করেও রফিকুলের কক্ষের কেউ সাড়া না দিলে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন অন্যরুমে অবস্থানরত তার স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকেটার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম, ছেলে নাইকুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম ও মেয়ে সামিয়া ইসলামকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থা বাকি তিনজনকে আইসিইউতে প্রেরণ করে।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)এস এম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, এ প্রতিবেদন লেখার সময়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম,পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর দুটি টিম।

এ ঘটনায় নিহত রফিক মিয়ার শশুর আনফর আলী,শাশুড়ী বদরুন্নেছা,শ্যালক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শোভা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •