• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

খোঁজা হচ্ছে ২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর যোগসূত্র!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত জুলাই ২১, ২০২২
খোঁজা হচ্ছে ২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর যোগসূত্র!

দুজনই পুলিশে চাকরি করতেন। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অন্যজন কনস্টেবল। কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান মাস দেড়েক আগেও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একই জেলার আলাদা জায়গা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মাহমুদুল ছিলেন গুলিবিদ্ধ আর লাবণীর মরদেহ পাওয়া গেছে ঝুলন্ত। তারা দুজনেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঘটনাটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মাগুরার। জেলার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘কনস্টেবল মাহমুদুল ওই পুলিশ কর্মকর্তার দেহরক্ষী ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছি। দুজনের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

খন্দকার লাবণী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার নানার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুরের বরালিদাহ গ্রামে। দুই দিন আগে তিনি ছুটিতে নানাবাড়ি আসেন। বুধবার রাত ১টার দিকে এই বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, নানার বাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাবণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।

MENU
হোমজাতীয়
দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর যোগসূত্র খোঁজা হচ্ছে
প্রকাশিত : ২০২২-০৭-২১ ১৭:৫৫:৫৩সিলেটটুডে ডেস্ক

দুজনই পুলিশে চাকরি করতেন। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অন্যজন কনস্টেবল। কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান মাস দেড়েক আগেও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একই জেলার আলাদা জায়গা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মাহমুদুল ছিলেন গুলিবিদ্ধ আর লাবণীর মরদেহ পাওয়া গেছে ঝুলন্ত। তারা দুজনেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঘটনাটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মাগুরার। জেলার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘কনস্টেবল মাহমুদুল ওই পুলিশ কর্মকর্তার দেহরক্ষী ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছি। দুজনের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

খন্দকার লাবণী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার নানার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুরের বরালিদাহ গ্রামে। দুই দিন আগে তিনি ছুটিতে নানাবাড়ি আসেন। বুধবার রাত ১টার দিকে এই বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, নানার বাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাবণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।

বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তা লাবণী আক্তারের মৃত্যুর কারণ বের করতে যখন জেলা পুলিশের সদস্যরা ব্যস্ত, তখন খবর আসে শ্রীপুর (ঘটনাস্থল) থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে শহরের পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে ‘আত্মহনন’ করেছেন পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, বুধবার রাতে ডিউটি শেষে পুলিশ লাইনের ব্যারাকে ফেরেন কনস্টেবল মাহমুদুল। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় ব্যারাকের ছাদে ওঠেন তিনি। এ সময় নিজের নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করেন।

২৩ বছর বয়সী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে খুলনা থেকে মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন।

তার বাবা খন্দকার রেজাউল হক বলেন, ‘আমার ছেলে বছর দুয়েকের বেশি হলো পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পায়। শুরু থেকেই সে খুলনায় ছিল। মাস দেড়ক আগে তাকে মাগুরায় বদলি করা হয়।’

আগেও আত্মহনের চেষ্টা করেন এডিসি লাবণী

লাবণীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আজম স্থানীয় নাকোল রাইচন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। আর স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক তারেক রহমান ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন। এই দম্পতির দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে এসেছে।

লাবণীর বাবা শফিকুল আলম বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দাম্পত্য কলহ ছিল। তারা বেশ কিছুদিন আলাদা ছিলেন। কলহের কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। সে এর আগেও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •