নিজস্ব প্রতিবেদক :: কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না দক্ষিন সুরমার ভার্থখলার মাদক-জুয়ার আসর। স্থানীয় ফাড়ি পুলিশের শেল্টারেই চলছে জমজমাট এ আসর। দৈনিক আসছে এ বোর্ডে লাখ লাখ টাকা। মাদক ও জুয়ার আসর পরিচালনা করছে জুয়াড়ি মজনু-রহিমা দম্পতি। মসজিদ-মাদ্রাসা ও কবরেস্থানের কাছেই এ বোর্ড চললেও নির্বিকার প্রশাসন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিগত দিনে পলিটেকনিকেল স্কুলের পাশেই একটি কলোনিতে বিভিন্ন বয়সি মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতো জনৈক নজির মিয়ার ছেলে মজনু। কলোনিটি নজির মিয়ার কলোনী নামেই পরিচিত ছিল।
কিছুদিন পর পর নজির মিয়ার কলোনির দেহ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন এরাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ। তখন নজির মিয়া পরিবারকে পাঁচ-পঞ্চায়েত থেকে বহিস্কারও করা হয়। কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী।
নারী ব্যবসায়ী মজনু খোঁজতে থাকে অবৈধ রোজগারের পথ ও পন্থা। এক সময় পেয়ে যায় ক্বিনব্রিজের দক্ষিণ মোড়ে নিচে শফিক মিয়ার কলোনির সন্ধান।
ওই কলোনীর পুরনো মাদক ব্যবসায়ী ছায়া বেগমের মেয়ে রহিমা’র সাথে গড়ে তোলে গভীর সখ্যতা ও প্রেম।
রহিমাকে স্ত্রী বানিয়ে গড়ে তুলে সংসার। রহিমার প্ররোচনা ও প্রলোভনে মজনু জড়িয়ে পড়ে মাদক ও শিলংতীর ব্যবসায়।
জমজমাট হয়ে ওঠে মজনু রহিমা দম্পতির মাদক ও জুয়ার আসর।স্থানীয়রা জানান,
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মাদকসেবী ও জুয়াড়ীরা এসে এখানে আড্ডা বসায়। জুয়া খেলে ও মদ পান করে মাতলামি করে। অপরিচিত লোকজনের আনাগোনায় এলাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেয়।
মাতালদের আস্ফালনে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ভীতিকর পরিস্থিতি।বেড়ে গেছে চুরি ছিনআই ও রাহাজানি।
এলাকায় রয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া নূরীয়াহ ভার্থখলা টাইটেল মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মসজিদ ও কবরস্থান।
মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ীদের কারনে এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা ও ভাবমুর্তি নষ্ট হলেও ভয়ে মুখ খুলতে কেউই সাহস পান না।
সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ী চক্রের সাথে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আসাধু কর্মকর্তাদের টু-পাইস এর সম্পর্ক।
এলাকার ধর্মপ্রান মানূষ ও ব্যবসায়ীদের সদা মামলা ও গ্রেফতার-রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে থাকে।
এক শ্রেনির নামধারি সাংবাদিকরাও এ স্পট থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক বখরা নিয়ে থাকে।
তাই প্রতিবাদীদের মধ্যে অপপ্রচারের ভীতিও কাজ করে।
যেকোন সময় এসব নামধারি সাংবাদিক যেকোন ব্যবসায়ী ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা অপবাদ মূলক প্রচার চালাতে পারে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যেতো ,কিছুদিন আগেও মজনু’র নুন আন্তে পান্তা ফুরাতো। খবর ক্রাইম সিলেট ডটকম সেই হত-দরিদ্্র মজনু বর্তমানে দামী ব্রান্ডের দুইটি মোটর সাইকেল চালায়।
প্রতিদিন সকালে এসে মোটর সাইকেলগুলো শফিক মিয়ার কলোনীতে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় খান বোডিংয়ের ভিতরে পার্কিং করে রাখে।
এতে সহজেই অনুমিত হয়, একজন সাধারন মানুষের একটি মোটর সাইকেল ব্যবহার স্থলে দুইটি মোটর সাইকেল ব্যবহারের কারনটা কি?
উল্লেখ্য, একটি মোটর সাইকেল মাদক আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করে এবং অপরটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে থাকে মজনু।
এ নিয়ে দৈনিক সোনালী সিলেট’সহ কয়েকটি মিডিয়ায় একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও বন্ধ হচ্ছে না মজনু-রহিমার মাদক ও জুয়ার আসর।
এতে মজনু রহিমা দম্ভোক্তি করে বলে পত্রিকায় নিউজ হলে পুলিশের রেট বাড়লেও আমাদের লাভ হয় অনেক।
বিনা টাকায় বিজ্ঞাপন প্রচারে আমাদের কাস্টমার আরা বেড়েই চলেছে।
আমরা পুলিশ সাংবাদিক সবাইকে খুশি রেখেই এ আসর পরিচালনা করছি। এটা বন্ধ করার সাহস কারোর নেই।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন-কীনব্রিজের নিচে মাদক-জুয়ার আস্তানায় প্রায়ই অভিযান পরচালিত হয়ে থাকে।
যখনই কোন তথ্য পাই দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির আইসি দিয়ে অভিযান পরিচালিত হয়ে থাকে বলে জনান তিনি।খবর ক্রাইম সিলেট
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে,মজনু রহিমা বহাল তবিয়তে থেকে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে মাদক ও শিলং তীর চালাচ্ছে এবং এ আস্তানায় কোনো পলিশী অভিযান হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন