• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

একজন মানবিক পুলিশ অফিসার ওসি আনিসুর রহমান!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মার্চ ৩১, ২০২২
একজন মানবিক পুলিশ অফিসার ওসি আনিসুর রহমান!

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা,সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে।

পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই।দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মানবিক পুলিশ অফিসার।

যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন।পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরও সাধারণ মানুষের খোঁজ নেয়া কয়জনই বা করার সুযোগ পান। কথাগুলো যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি হলেন সিলেট মেট্রপলিটন পুলিশের আওতাধীন শাহপরান(রহঃ)থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান একজন সাহসী ও মেহনতি সম্মুখযোদ্ধা সৈনিকের নাম।

যিনি শাহপরান (রহঃ) থানায় যোগদান করেই বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে সৃষ্টি করছেন ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।আশার প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছেন শাহপরান থানার আপামর জনতার হৃদয়ের মণিকোঠায়।

নিষ্ঠাবান এ কর্মকর্তা কর্মকালীন সময়ে নিজের সততা,ভালোবাসা,সাহসিকতা,উদারতা দিয়ে কেড়ে নিয়েছেন শাহপরান থানাবাসীর মন। যার আন্তরিকতা,কর্মদক্ষতা ও সাহসিকতায় উজ্জল হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি যা অতিতে তেমন ছিল না বললেই চলে।

শাহপরান থানাবাসীর জন্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান আস্থা ও ভরসার এক বাতিঘর। আমজনতার মধ্যে এক সমীহের নাম যেন তিনি।

এখনো কেউ কথায় কাজে অমিল খোঁজে পায়নি। কাজের বলিষ্টতায় মানুষের মধ্যে আজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবেন তিনি। তৃপ্তির গর্বিত আওয়াজ তাকে নিয়ে অনেকের মাঝে। মানব সেবার এক অনন্য আইকন হয়ে দাড়িয়েছেন শাহপরান থানাবাসীর পাশে।

পুলিশ জনগনের বন্ধু ও জনগনের জানমালের হেফাজতের দায়িত্ব পুলিশের। শাহপরান থানায় পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন আনিসুর রহমান। তিনি সিলেট মেট্রপলিটন পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় এবং শাহপরান থানার দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সাধারন মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করার পাশাপাশি থানার দরজা সকল বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন।

বর্তমানে তার নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছেন শাহপরান রহঃ থানার পুলিশ সদস্যরাও।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান শাহপরান থানায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে গেছে থানার চিত্র। তিনি নিজেকে ওসি হিসেবে নয়,জনগনের সেবক হিসেবে অতি সাধারন বেশে জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন, দমন করছেন থানার দালালির দৌরাত্ব। বর্তমানে থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই সাধারণ ডায়রী,অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভূক্ত করতে পারছেন থানায়।

এমন প্রশংসনীয় কারণে তিনি শাহপরান থানাবাসীর কাছে কিছু দিন যেতে না যেতেই সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুৃখে তার প্রসংশা।

এক কথায় সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসায় ভাসছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি বর্তমানে সাধারন মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক এবং অপরাধীর কাছে হয়ে উঠেছেন আতঙ্ক।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন অন্যতম সৎ নিষ্ঠা ও স্বনামধন্য অফিসার ইনচার্জ। তিনি মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনেক সুনাম কামিয়েছেন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি থানায় তাকে রদবদল করা হয়।

পুলিশের একান্ত বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়,সৈয়দ আনিসুর রহমান এর আগে বেশ কয়েকটি থানায় সুনামের সাথে কাজ করেছেন।

উল্লেখ্য, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আনিসুর রহমান সিলেটের বেশ কয়েকটি থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সমস্ত এলাকায় তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে ও বিভিন্ন ক্রাইমজোন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অন্যান্য ওসিদের তুলনায় নিজ দায়িত্বে অনেক অসাধ্য মামলার রহস্য উদঘাটন করেছেন।

জানা যায়,পুলিশের এই অফিসার ইনচার্জের সাফল্য নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি চুরি,ছিনতাই, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে যথেষ্ট কৌশলগতভাবে কাজ করে থাকেন।

এজন্য মাদক বিক্রি ও সেবনের সাম্রাজ্যের ত্রাস হিসেবে পরিচিত তিনি।করোনা কিংবা কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী যখন অচেনা। পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিণ,পুরো গ্রহটাই যেন লন্ডভন্ড। ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গেছে। প্রিয়জনও দূরে সরে গেছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছে। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে অন্যের সাহায্যে ছুটে গিয়েছেন সৈয়দ আনিসুর রহমান।

সৈয়দ আনিসুর রহমান একজন জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতিটা থানায় সাধারণ মানুষকে সেবার পাশাপাশি পুলিশকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান,সম্প্রতি আমার বাড়ির একটা সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম।

সমস্যা সমাধানে স্যারের আন্তরিকতার কোন অংশে কমতি ছিল না। আমার দেখা পুলিশ অফিসারের মধ্যে সেরা এই স্যার।যদি বলি একজন মানবিক অফিসার,যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার,যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ,সব বিশেষণ স্যারের সঙ্গে মিশে আছে।

উপশহর পুলিশ ফাড়ির এক পুলিশ সদস্য জানান,শাহপরান থানা এলাকায়,
স্যারের এমন অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক সৈয়দ আনিসুর রহমান স্যার। স্যারের নির্দেশনা পালনে সব সময়ই প্রস্তুত। তার অনুপ্রেরণাই কাজের প্রতি কমিটেড করে দেয় আমাদেরকে।

সৈয়দ আনিসুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আইনের সেবক হয়ে জনতার সাড়িতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো,প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি শাহপরান থানা বাসির জন্য কাজ করব।

একজন সাধারণ মানুষ যখন আইনের সেবকদের কাছে ন্যায় বিচার পাবে ঠিক তখনি মানুষের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জেগে উঠবে। আমি মনে করি সাধারণ মানুষ যখন আমাদের কাছে আসতে পারবে ঠিক তখনি তারা অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথে ফিরে আসবে, একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধি কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সে উন্নত বাংলাদেশের আমরাই হবো উন্নত পুলিশ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন