• ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

কাকুয়ারপাড়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রেমিক

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত মার্চ ৭, ২০২২
কাকুয়ারপাড়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রেমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে মধ্যরাতে পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে চোর সন্দেহে খেলেন ধাওয়া। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেমিক চার তলায় ছাদে উঠে ‘ফ্লাই করলেন’ নিচের দিকে।

তারপরই ঘটলো ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। সোজা পড়লেন চোখা একটি রডের উপর। রড শরীরের ঘাড়ের পাশ দিয়ে ঢুকে সোজা বের হয়ে গেলো পেটের পাশ দিয়ে। সেই প্রেমিক এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়। রবিবার দিবাগত (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট নগরীর এয়ারাপোর্ট থানাধীন কাকুয়ারপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, কাকুয়ারপাড় এলাকার চারতলা একটি বাড়ির এক ইউনিটে থাকা উসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ট্রাফিক সহকারির স্ত্রীর সঙ্গে একই বাসার ভাড়াটে বিমান বন্দরে ট্রাফিক সিকিউরিটি মান্নান মিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে রবিবার মধ্যরাত ১২টার দিকে প্রেমিকার ঘরে ঢুকেন সেই মান্নান। এসময় প্রতিবেশিরা চোর মনে করে চিৎকার শুরু করলে সেই প্রেমিক দৌঁড়ে ৪ তলা বাসাটির ছাদে ওঠে পড়েন। ধরা পড়া এড়াতে এসময় তিনি ছাদ থেকে লাফ দেন। কিন্তু সোজা মাটিতে না পড়ে গিয়ে পড়েন একটি পিলারের চোখা রডের উপর। চোখা রডটি সেই প্রেমিক যুবকের ঘাড়ের বাম পাশ দিয়ে ঢুকে একেবারে পেটের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মান্নানের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই প্রেমিক যুবককে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই এবং আহত যুবককে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এখন তার অবস্থা আশঙ্কা মুক্ত। তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •