• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রকাশিত সংবাদের রেঞ্জার সাদ উদ্দিনের ভিন্নমত

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২

গত কয়েকদিন থেকে দুই একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল গণমাধ্যমে প্রকাশিত”সাদ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা”ও”সাংবাদিকদের সাথে লুকুচুরী”শিরোনামে প্রতিবেদনের প্রতি রেঞ্জার সাদ উদ্দিনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

করেছেন সিলেট বন বিভাগের সারী রেঞ্জ কর্মকর্তা রেঞ্জার সাদ উদ্দিন।এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন,আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।প্রকৃত ঘটনা

হচ্ছে,মিথ্যা কথা সাজিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভুয়া।আমি ২০১৮ হতে ২০২১ পর্যন্ত জাফলং কানাইমুড়ী,রহমতপুর,সোনাটিলাসহ ছৈলাখেল ৩য় খন্ড মৌজার ক্রাসার,পাথর ডাম্পিং ও কয়লা ডাম্পিং কূত ১৪০,০ একর জায়গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্য প্রশাসনের সহযোগীতায় উদ্ধার করে বনায়ন করি।তাছাড়া প্রকাশিত নিউজের মধ্যে

যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি আমাকে না জানিয়ে আমার ফেইসবুক আইডি থেকে নেয়া।একটি পক্ষ নিজেরাই এমন ভুয়া নিউজ তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে

কুৎসা ছড়াচ্ছে।আমি এতে সামাজিক, মানষিক ও দাফতরিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। রেঞ্জার প্রতিবাদ লিপিতে আরো উল্লেখ করেন। রাতারগুল বিটের মহিষখেড় মৌজার জবরদখল কৃত ১৩১.০ একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার করে বনায়ন করা হয়েছে সেইসাথে নির্বাহী ম্যাজিষেট্রটের উপস্থিতি তে আমাদের

উপর হামলা করা হয়েছে। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন পত্রিকাটিকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি।

সাদ উদ্দিন আরো বলেছেন,তারা দীর্ঘদিন সুনামের সহিত বিট কর্মকর্তা হিসেবে পরিচালনা করে আসছি।বিগত জানুয়ারি একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে

গত বৃহষ্পতিবার সরেজমিন তদন্ত কার্যক্রমে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার বিষয় নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। উক্ত সংবাদে সিলেট বনবিভাগের সারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।সাদ উদ্দিননের নামে উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত

সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।বনবিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। বিদায় উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে

পাের্টালে সম্পূন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন যা বনবিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন সহ অবৈধভাবে বনভূনি জবরদখলের পায়তারা করিতেছে এবং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করিতেছে। প্রকাশিত সংবাদে বনভূমিতে অবৈধ ভাবে ঘর নির্মান কর্তৃক বন মামলা দেওয়ার যে সংবাদ পরিবেশন করা হইয়াছে তাহাও সম্পূন্য মিথ্যা।

তিনি বলেন আমি জাফলং বন ভুমি নিয়ে মহাজিরদের দায়ের করা মামলা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে নিষ্পত্তি করে যুগান্তকারী রায় নিয়ে আসা কি আমার অপরাধ। যে মামলার রায়ের নিউজ ২৪,ইন্ডিপেন্ডেড,যমুনা টিভি সহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।প্রতিবাদ লিপিতে রেঞ্জার সাদ উদ্দিন দাবি করেছেন,তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিরীহ হিসেবে দীর্ঘদিনধরে

সুনামের সঙ্গে রেঞ্জার হিসেবে পরিচালনা
করে আসছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক।প্রতিবাদ লিপিতে তিনি
বলেন,বিভিন্ন সময় সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ যাবত প্রায় ৬০ টি করাতকল উচ্ছেদসহ বিগত চার বৎসরে সারী রেঞ্জের প্রায় ৭০০ একর জবর দখলে

থাকা বনভূমি উদ্ধার করি।এবং সহ ব্যবস্থাপনা কমিটি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বেই নীতিমালা অনুসারে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে যাহা ইউ এন এ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোয়গন নির্বাচন করেছেন এতে কি আমি অপরাধি।সাংবাদিক ভাইয়েরা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম কোনো প্রকার খোঁজ-খবর না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেছেন। অপরাধীগন অপরাধ করলে স্থানীয় বিট কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন
এটাই স্বাভাবিক,এখানে আমার অপরাধ কোথায় ।

এরকম সংবাদ প্রকাশের আগে তার সঙ্গে কেউ কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি এবং কোনো প্রকার কথা বলেননি,যা সংবাদ মাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের নীতিমালার বাইরে।আজ থেকে ৮ থেকে ১০ বছর আগের মারা যাওয়া গাছের কোশা নতুন করে কেটে ফাসানর পায়তারা করার বিরুদ্ধে জিডি করাই কি অন্যায় প্রকাশিত সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে আমি নাকি সাংবাদিক ম্যানেজ করছি।এসব মিথ্যা,ভিত্তিহীন,রেঞ্জার সাদ উদ্দিন আরো উল্লেখ করে বলেন আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সমর্থনে কোনো ব্যবসায়ী বা ভুক্তভুগীর বক্তব্য নেই।কাজেই স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হয় যে,এসব অভিযোগ মিথ্যা,ভিত্তিহীন,মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।পেছনে থেকে কেউ প্রভাবিত করে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং অফিসিয়ালি সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যম গুলোকে বিনীত অনুরোধ করেন রেঞ্জার সাদ উদ্দিন ।

সারমর্ম হচ্ছে সবুজ বনায়নে বদলে যাচ্ছে সিলেট বন বিভাগের সারি রেঞ্জের জাফলং বন বিট।
বনের ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে রােপণ করা হয়েছে নানা জাতের গাছ।ফলে সবুজের সমারােহে নতুন করে সেজেছে এই বিটের বনভূমি।আর এতে করে প্রকৃতি যেন ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ।সারি রেঞ্জের আওতায় জাফলং বন বিটের মােট ছয় হাজার একর ভূমি রয়েছে। যার মধ্যে তামাবিল,সােনাটিলা,

রহমতপুর ও কানাইজোড়া এলাকায় প্রায় ১৫০ একর বনের ভূমি জবর দখল করে অবৈধভাবে ক্র্যাশার মেশিন স্থাপন এবং কয়লা ও পাথর রাখার ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরি করেছিল স্থানীয় লােকজন। এ স্থানটি গত তিন বছরে বন বিভাগের একাধিক অভিযানে দখলমুক্ত করা হয়েছে।গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৬২টি ষ্টোন ক্রাশার মেশিন এবং অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ উচ্ছেদ করা হয় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা।দখলমুক্ত করার পর সেই ভূমিতে নতুন হয়েছে শতাধিক করে বনায়নের উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ।

উদ্ধার হওয়া জায়গায় রােপণ করা হয়েছে।নানা প্রজাতির গাছের চারা।এসব অঞ্চলের টিলা ও সমতল ভূমি এখন ভরে উঠেছে আকাশমণি, জারুল,শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, হরিতকি ও রেইনট্রির সারিতে।অপরদিকে শেওলারটুক এবং নলজুড়ি হাওর এলাকায় জাফলং বিটের আরও প্রায় দেড় হাজার একর বনের ভূমি জবর দখল করে নেয় স্থানীয় লােকজন। সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে প্রায় ২৫০ হেক্টর ভূমিদখলমুক্ত করে সেখানে মুর্তা বাগান করেছে বন বিভাগ।একই সঙ্গে দখলমুক্ত পাঁচ হেক্টর ভূমিতে আলাদা করে হিজল, করচ,জারুল,শিমুল ও অর্জুনসহ নানা

প্রজাতির গাছের চারা রােপণ করা হয়েছে। জাফলং বন বিটের বিরান ভূমি যেনক্রমান্বয়ে ছেয়ে যাচ্ছে সবুজে। বন বিভাগের বনায়ন কর্মসূচিতে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে প্রকৃতির সবুজ প্রান্তর। সারি রেঞ্জ কর্মকর্তা মােহাম্মদ সাদ উদ্দিন বলেন,এ অঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবর দখলের পর বন উজাড় ও ধ্বংস করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্টোন ক্র্যাশার মেশিন বসিয়ে কয়লা-পাথর ডাম্পিং করে আসছিল একটি চক্র। তাদের উচ্ছেদে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন