• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ,শ্রমিক নেতা মঈন’র বিরুদ্ধে

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
সিলেটে ৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ,শ্রমিক নেতা মঈন’র বিরুদ্ধে

নাম রুনু মিয়া মঈন,সভাপতি সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং- চট্ট-১৩২৬)। সিলেট নগরের জিন্দাবজারস্থ সমবায় ভবনে রয়েছে তার ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়। আজ থেকে ২০বছর আগে ছিলেন একজন সাধারণ টেম্পু চালক। বর্তমানে তিনি অনেক গাড়ি-বাড়ি ও বিত্ত বৈবভের মালিক। নগরের উপকন্ঠ দক্ষিণ সুুরমার বাস স্ট্যান্ড, বাইপাস এলাকায় নামে বেনামে রয়েছে তার বিশাল ভূ-সম্পত্তি।

সিলেট সদরের খাদিমপাড়ায় একটি বিলাশবহুল বাড়ি সহ রয়েছে কয়েকটি বহুতল বাড়ি। এবার মামলার জালে আটকা পড়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়েছে ইউনিয়নের ৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের। মামলায় অভিযোগ করা হয়, হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ শ্রমিকদের এ টাকা আত্মসাত করে তিনি এ বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। শ্রম আদালত সিলেট-এর বি. এল. এ (ফৌজদারি) ০২/২০২২ নং দায়েরী মামলার বাদী হচ্ছেন সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (চট্ট- ১৩২৬) এর সাবেক সভাপতি ও তামাবিল শাখার সদস্য শাহাব উদ্দিন। মামলায় অভিযোগ করা হয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি রুনু মিয়া মঈন আজ থেকে ২০বছর আগে লোক দেখানো এক নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতির আসনে বসে দীর্ঘ ২দশক ধরে অগণতান্ত্রিক পস্থায় এ পদ আকড়ে ধরে রেখেছেন। ইউনিয়নের জন্য সরকার অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের সবকটি ধারা-উপধারা লংঘন করে এ যাবত তিনি লুটপাট ও আত্মসাতের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত ছাড়াও সিলেটের তামাবিল এলাকায় অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি, বে-আইনি হিউম্যান হলার, ইমা, লেগুনা, সুজুকি, মেক্সি, রাইডার, ইত্যাকার রেজিষ্ট্রেশন বিহীন যানবাহনে পুলিশ টোকেন বাণিজ্য করে দৈনন্দিন লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করছেন।খবর সিলেট লাইভ ২৪ডটকম তার এ আত্মসাতমূলক কর্মকান্ডে সহযোগিতা করছেন ওই চালক শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইনছান আলী ও ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ কয়েকজন। তাদেরকেও এ মামালায় এজহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে।

অভিযোগে আরো প্রকাশ, ইউনিয়ন গঠনতন্ত্রের ১৪ (ক) ধারা, ১৪ (গ) ধারা, ১৪ (ঙ) ধারা লংঘন করেই রুনু মিয়া মঈন বিনা নির্বাচনে ইউনিয়নের জেলা সভাপতির পদ আকড়ে ধরে স্বৈরাচারী কায়দায় ইউনিয়ন পরিচালনার পাশাপাশি আত্মাসাত ও শ্রমিক হয়রানিমূলক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৯) এর ২৯১, ২৯২, ২৯৩ এবং ৩০৭ ধারায় দায়ের করা এই মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়- ইউনিয়ন গঠনতন্ত্রের ১৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে আয়-ব্যায় হিসাব পরিচালনা ও বার্ষিক সাধারণ সভায় এই হিসাব অনুমোদন করানোর কথা থাকলেও সভাপতি রুনু মিয়া মঈন তা’ না করে বেপরোয়াভাবে ইউনিয়নের টাকা আত্মসাত করে চলেছেন। এর প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার শিকার হয়ে থাকেন সাধারণ শ্রমিকরা। রুনু মিয়া মঈন চার দলীয় জোট সরকার আমলে বিএনপি নেতা ও মন্ত্রীদের নাম ভঙ্গিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় ইউনিয়ন পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে সরকার দল আওয়ামী লীগের লেবাস পরে হীন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়ন(চট্ট- ১৩২৬) এর বর্তমান সভাপতি রুনু মিয়া মঈন-এর সাথে সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অন্যায় ও আত্মাসাতের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,মামলার বাদী শাহাব উদ্দিন তার ইউনিয়নের কোন সদস্য নন। তবে বাদী শাহাব উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি ওই ইউনিয়নের বৈধ সদস্য এবং ভোটার। ২০১৯ সালের দেওয়া ভোটার কার্ড তার কাছে রয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন