নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট বিভাগীয় বন কার্যালয়ের অধীন জাফলং-তামাবিল বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল অল্প দিনেই হয়ে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। জাফলং তামাবিল বনবিটের হাজারো একর ভূমি চলে গেছে ভূমিখেকোদের দখলে। বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডলকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সম্প্রতি বনাঞ্চলের কোটি টাকা মূল্যের ১০ শতক ভূমি হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি ফারুক আহমদ।
যা গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০৬ নং মৌজা ছৈলাখেল ৪র্থ খন্ড’র ১৭০ দাগের ভূমি। বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ সম্প্রতি এই ভূমিতে পাকা দালান নির্মান করে চলেছেন বলে স্থানীয় সংবাদসূত্র জানিয়েছে।খবর ক্রাইম সিলেট
এ বিষয়ে পত্রপত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে আইওয়াশ অভিযান চালান বিট কর্মকর্তা প্রদীপ। লোকদেখানো টিন ও চালা খোলে নেওয়ার চিত্র দেখালেও উচ্ছেদে কার্যত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভেঙ্গে ফেলা হয়নি স্থাপনা, জব্দ করা হয়নি দখলীয় ভূমির কোন মালামাল। ফলে কোন মামলা হয়নি অবৈধ দখলকার ফারুকের বিরুদ্ধে। বিট কর্মকর্তা প্রদীপ,
বনবিট অফিসের পাশেই বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ১০ টি ডাম্পিং এর অনুমতি দিয়েছেন বিট কর্মকর্তা প্রদীপ। ডাম্পিংগোলো করছে বিনা মেম্বারনী, রাসেল আহমদ, পাগলা মন্নান, আনোয়ার ও বিল্লাল সিন্ডিকেট।
প্রত্যেকটি ডাম্পিং থেকে প্রাথমিক অবস্থায় এককালীন ৩০ হাজার টাকা করে আদায় করে নিয়েছেন প্রদীপ মন্ডল। চুক্তি করেছেন মাসিক ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার। জাফলংয়ের মোহাম্মদপুর এলাকায় ২০টি ক্রাশার মেশিন বসিয়েছেন প্রদীপ।
প্রত্যেকটি ক্রাশার থেকে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন এবং ক্রাশার প্রতি মাসিক ১০ হাজার টাকা করে নেওয়ার জন্য গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও বনভূমিতে আরো বেশ কয়েকটি ক্রাশার মিল বসানোর জন্য তার কাছে তদবীর চলছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিট কর্মকর্তা প্রদীপ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে জাফলং বনভূমি। টাকার বিনিময়ে খেয়ে ফেলছেন বনাঞ্চলের ভূমি।
জাফলং বিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল অবশ্য বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ কর্তৃক বনাঞ্চলের ভূমি দখলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- এই ভূমি উদ্ধার প্রক্রিধীন রয়েছে। তবে ডাম্পিং বসানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তিনি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন