অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিত নগরায়ন ধুলোবালি আর তীব্র যানজটে চরম জনদুর্ভোগের নগরী এখন সিলেট। স্বস্তিতে চলার উপায় নেই। পথচারী, চালক, শিক্ষার্থী বা অফিস- আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রত্যেহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
একদিকে শুকনো মৌসুমের ধুলোবালি, অপরদিকে ট্রাফিক জ্যাম- এই দুই চাপে সিলেটের নাগররিক জীবন এখন রীতিমতো চ্যাপ্টা। শুকনো মৌসুমে বরাবরই ধুলোর যন্ত্রনা পোহাতে হয় নগরবাসীকে। এসময়টাতে ড্রেনেজ ও রাস্তা সংস্কারসহ সিলেট সিটি করপোরেশন নানা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। রাস্তার পাশে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা রাখা, আবার সংস্কার কাজের জন্য নির্মাণ সামগ্রী থেকে ধুলোবালি উড়তে থাকে। আর এর খেসারত দিতে হয় নগরবাসী ও আগন্তুকদের। কালো চুল প্রায় সাদা বা চামড়ায় ধুলোর আস্তরণ নিয়ে ঘরে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
এতে নানা ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়তে শুরু করেছে। যেমন শর্দি কাশি জ্বর ইত্যাদি। এই করোনাকালে এসব বায়ুবাহিত রোগও মারাত্মক আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নগরবাসীর মনে।
নগরীর উপশহর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হানিফ জানালেন, তার পরিবারের প্রায় সবার সর্দিকাশি। অবশ্য কারো জ্বর নেই। হলেতো উপায় ছিলনা। করোনা আতঙ্কে অবস্থাটা যে কি হতো- মৃদু হাসলেন তিনি।
ধুলোবালির যন্ত্রনাটা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে যানজট। নগরজুড়ে কোথাও স্বস্তির উপায় নেই। বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটে পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রচুর সময়।
নগরীর চৌহাট্টা, আম্বরখানা, রিকাবিবাজার, তালতলা, সুবিদবাজার, নাইওরপুল, সুবহানীঘাট, উপশহর, শিবগঞ্জ, নয়াসড়ক, বরুতখানা, জেলরোড – ইত্যাদি পয়েন্টে যানজটে প্রত্যহ থমকে যাচ্ছে নাগরিক জীবন।
এ নিয়ে অনেকেই চরম বিরক্ত। তাদের মতে, ট্রাফিক বিভাগ ঠিকমতো কাজ করতে পারছেনা। কোথায় কি সমস্যা চিহ্নিত করে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে নাগরিক জীবন কিছু স্বস্তিতে কাটানো যেত।
তবে এব্যাপারে একমত নয় সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীলরা। তাদের সাথে আলাপকালে জানা গেল, নগরীর উপশহর শিবগঞ্জ রিকাবিবাজারসহ অন্যান্য এলাকায় উন্নয়ন কাজ চলছে। চলছে ড্রেনেজ ও রাস্তা সংস্কার। এসব কারণে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলতে পারছেনা। পাশাপাশি এখন সবগুলো প্রতিষ্ঠানই খুলেছে। এতে রাস্তায় যানবাহনের চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। আর তাই এই যানজট। খবর সিলেট প্রতিদিন
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, নগরীর বিভিন্ন রোডে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কোনো প্রকল্প সিলেট সিটি করপোরেশনের, কোনোটা আবার অন্যান্য সংস্থার। এসব কারণে যানবাহন চলতে সমস্যা হচ্ছে। আর তাই ট্রাপিক জ্যাম।
তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশদের নিয়ে বিশেষ প্রোগ্রাম চলছে নগরীর ৯টি পয়েন্টে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতাটুকু ব্যবহার করছি। তবে উন্নয়ন কাজের কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন