• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিজিবি সদস্য নিহত

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৯, ২০২১

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন।ফল ঘোষণার পর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিজিবি সদস্যের নাম রুবেল হোসেন। তিনি বাহিনীটির নায়েক ছিলেন। রাত ১১টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায়।স্থানীয়রা জানান, গাড়াগ্রাম ইউপিতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী জোনাব আলীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই ফল প্রত্যাখান করেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিকের সমর্থকরা। কেন্দ্র থেকে ব্যালটসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে রির্টানিং কর্মকর্তার দপ্তরে যাওয়ার সময় কর্মকর্তাদের ওপর লাটিসোটা নিয়ে হামলা চালান তারা।

তারা আরও জানান, ওই সময় আত্মরক্ষায় বিজিবি সদস্য রুবেল কেন্দ্রের একটি কক্ষে আশ্রয় নিলে বিক্ষুব্ধরা সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পুলিশের গাড়ি ও ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাও চলান তারা। আত্মরক্ষায় তখন কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায় বলেন, ‘ফল ঘোষণার পর লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিক লোকজন নিয়ে এসে ওই কেন্দ্রে তাকে জয়ী ঘোষণার দাবি জানিয়ে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে বাধা দেন।

‘ওই সময় আমাদের ওপর আক্রমণ চালাতে শুরু করলে আমি নিজে, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কয়েকজন পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য আহত হই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরে আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন।’

রাত ১১টার দিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আবদুর রহমান বলেন, ‘হামলায় বিজিবির নায়েক রুবেল হোসেন নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কর্তব্যরত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসসহ নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে নীলফামারী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ৫৬-বিজিবির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন ধরেননি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন