• ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শাহপরানে অপরাধীদের মূর্তিমান আতংক এসআই সাইফুল!

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২০, ২০২১
শাহপরানে অপরাধীদের মূর্তিমান আতংক এসআই সাইফুল!

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সিলেট শহরতলীর এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় চোরাচালান সিন্ডিকেট,মাদকসেবী,সন্ত্রাসী,ভূমিদস্যু ও বখাটেদের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন নবাগত ওয়ারেন্ট অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম।

তিনি শাহপরান(রহঃ)থানায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক চোরাচালান কারবারী,মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে প্রায় অশান্ত শাহপরান(রহঃ)থানায় এখন শান্তি বিরাজ করছে। শাহপরান(রহঃ)থানায় যোগদানের মাত্র এক মাসের মাথায় চোরাই পন্য,মাদক উদ্ধার,

ওয়ারেন্ট তালিম ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ সভায় এসএমপির শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে সম্মামনা ক্রেস্ট ও সনদ পেয়েছেন তিনি।জানা গেছে- চলতি বছরের ৩১ আগষ্ট শাহপরান (রহঃ) থানার ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে এসআই সাইফুল ইসলাম যোগদান করেন।

শাহপরান (রহঃ) থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আনিসুর রহমানের দিকনির্দেশনায় যোগদানের পর হইতে অধ্যাবধি থানা এলাকায় মাদক, ছিনতাই, ডাকাতিরোধ ও বিশেষ করে চোরাচালানের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে জোরালো অভিযানে তাহার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বিশ্বস্থ সোর্স নিয়োজিত করে টিমওয়ার্কও বাড়িয়ে শুরু থেকেই থানা এলাকায় চোরাচালান ও মাদকের বিরোদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষনা করে অপরাধ দমনে নিয়মিত কোথাও না কোথাও অভিযান করে যাচ্ছেন।

ভৌগলিক কারণে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট এই তিন উপজেলার মিলনস্থল শাহপরান (রহঃ) থানার মধ্যে দিয়ে সকল ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার করা হয়। এক সময় পত্রিকার পাতা খুললেই শাহপরান (রহঃ) থানার এলাকার ভিতরে দিয়ে হরেকরকমের চোরাই পন্য পাচার ও চোরাকারবারির সাথে পুলিশের গন্ডগুলের মতো নানা অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়তো। এসআই সাইফুল ইসলাম ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে শাহপরান (রহঃ)

থানায় যোগদানের পর থেকেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় তাহার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশেষ করে
চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। তাছাড়া শাহপরান (রহঃ) থানা এলাকার চিহ্নিত মাদকজোনগুলোও এখন প্রায় ক্রেতাশূন্য,মাদক পাচারকারীদের আনাগোনা দৌরাত্মও যেন হারিয়ে গেছে।

মাদক ও চোরাচালনরোধসহ দাগী অগণিত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তাহার হাতে গ্রেফতারকৃত দাগী বেশকজন অপরাধীর ঠিকানা এখন সিলেট শহরতলীর সুরমা তীরের বাধাঘাট জেলখানায়।

শাহপরান (রহ.) থানা এলাকার ছোটখাটো ঘটনা সমুহ থানায় কিংবা আদালতে গড়ানোর আগেই বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দিচ্ছেন বাদী ও বিবাদীর সম্মতিতে তিনি। এমন প্রশংসনীয় কারণে তিনি থানাবাসীর কাছে কিছু দিন যেতে না যেতেই সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে তাহার প্রসংশা। এক কথায় সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসায় পঞ্চমুখর এসআই সাইফুল ইসলাম। তিনি যেমন বর্তমানে সাধারন মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক ঠিক তেমনি অপরাধীর কাছে হয়ে উঠেছেন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।

তার সাহসী ভূমিকায় শাহপরান (রহ.) থানাধীন এলাকা দিয়ে কোন ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার হচ্ছে না। চোরাই কারবারীরা এসআই সাইফুল ইসলামের ভয়ে অন্যত্র এলাকা দিয়ে চোরাই মাল নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ চিত্র সিলেটের শাহপরান (রহ.) থানাধীন এলাকার। শাহপরানে কমেছে সার্বিক অপরাধ প্রবনতা। শাহপরান (রহ.) থানার নবাগত চৌকস ওয়ারেন্ট অফিসার এসআই সাইফুল ইসলামের একান্ত প্রচেষ্টার কারণেই চোরাচালান ও মাদকসহ অপরাধ প্রবনতা প্রশমনে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরন সফলতার কারণ বলে উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।

এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন- অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তারা যতই শক্তিশালী হোক আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। চোরাচালান সিন্ডিকেট, সন্ত্রাস, মাদকসেবী, ভূমিদস্যু, ইভটিজার এরা সমাজের ব্যধি। গুটি কয়েক চোরাচালান সিন্ডিকেট, সন্ত্রাস ও মাদকসেবীর জন্য গোটা সমাজকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন- সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপত্তায় পুলিশ দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া শাহপরান (রহ.) থানা এলকা একটি অনেক বড় এড়িয়া। এখানে জনগণের তুলনায় পুলিশ সদস্যের সংখ্যা অপ্রতুল। তারপরেও যতদূর সম্ভব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা মোতাবেক সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন