• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শীত বাড়ার আগেই নগরীর ফুটপাতে শীতের পিঠার জমজমাট ব্যবসা

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৯, ২০২১
শীত বাড়ার আগেই নগরীর ফুটপাতে শীতের পিঠার জমজমাট ব্যবসা

শেখ মোঃ লুৎফুর রহমানঃ শীত মানেই পিঠা-পুলির উৎসব।শীত মানেই হিমেল হাওয়ায় ধোঁয়া উঠা চিতই,পুলি ও ভাপা পিঠার স্বাদ নেওয়ার কাল। শীত এলেই শহর ও গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করার ধুম পড়ে যায়।এবার শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেট নগরের ফুটপাতে শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে।গরম গরম ভাপা, চিতল চুলা থেকে নামছে,ক্রেতারা এসে সারিবদ্ধ হয়ে পিঠা কিনছেন।সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট নগরীর জনবহুল আম্বর খানা বাজার মোর , বন্দর বাজার পয়েন্ট, টিলাগড় বাজার পয়েন্ট ,শাহী ঈদগা মিনারের সামনে, কাজীটুলা’বালুচর বাজার সহ বিভিন্ন পাড়া- মহল্লার মোড়ে ছোট ছোট পিঠার দোকান সাজিয়ে বসছে নারী-পুরুষ বিক্রেতারা। বেচাকেনাও বেশ ভালোই চলছে। চলতি পথে থেমে বা অস্থায়ী দোকানের বেঞ্চে বসেই সন্ধ্যায় হালকা নাশতাটা সেরে নিচ্ছেন গরম গরম ভাপা পিঠা কিংবা চিতল পিঠা দিয়ে। প্রতিটি ভাপা পিঠা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা এবং চিতই ৫ টাকায়। সরিষা বাটা বা শুটকির ভর্তা থাকছে ফ্রি।

বালুচর বাজারের খন্দকার মিফতা আহমদ নুরু বলেন, আগে টেলার গাড়ি নিয়ে তরকারি বিক্রি করতাম ।এ মৌসুমে শীতের পিঠা অনেক ভালো চলে। চাকরিজীবী ও পথচারিরা প্রতিনিয়ত পিঠা খাচ্ছেন আবার অনেকে পরিবারের জন্য বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।শাহী ঈদগাহ পিটা বিক্রেতা জোসনা বেগম জানান, শীতের এ সময়ে পিঠা ভালো চলে। বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তিনি কয়েক ধরনের পিঠা বিক্রি করে থাকেন। তাতে দিনে তার পড়ে ৫/৬শত টাকার বেশি লাভ হয়।

নগরীর আল-আমীন নামে এক কলেজ ছাত্র পিঠা খেতে এসে বলেন, আগে বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো এখন তা আর দেখা যায় না। তাই আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এই দোকান থেকে পিঠা খাই।বন্দর বাজারে ব্যাংকে কর্মরত সুমন মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে গ্রামের বাড়িতে চুলার পাশে বসে পিঠা খাওয়ার ছবি এখনও চোখে ভেসে ওঠে। এখন শহরে ব্যস্ত জীবনে সেটা আর হয় না। তাই এখনা থেকেই কিনে খাই।আল-আমীন বা সুমন মিয়ার মতো অেনেক ক্রেতাই ফুটপাতের এইসব দোকান থেকেই ঐতিহ্যের স্বাদ নেন আর বিক্রেতা পান আয়ের সুযোগ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন