• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আবারও সেরা করদাতা কাউছ মিয়া

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০২১
আবারও সেরা করদাতা কাউছ মিয়া

তিনি সেভাবে আলোচিত ব্যবসায়ী নন, কর মৌসুম ছাড়া তার উদ্যোগ, ব্যবসার সাফল্য সেভাবে গণমাধ্যমেও আসে না। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সেরা করদাতার তালিকা থেকে কেউ তাকে টলাতে পারছে না।সেরা করদাতার মুকুট আরও একবার উঠল ‘নীরব ব্যবসায়ী’ কাউছ মিয়ার মাথায়।বুধবার রাতে ২০২০-২১ করবর্ষের জন্য সেরা করদাতা হিসেবে তাদের নাম গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাতে কাউছের আবার সেরা হয়ে ওঠার তথ্য জানা যায়।

তালিকায় জ্যেষ্ঠ নাগরিক, ব্যবসায়ী, শিল্পীসহ বিভিন্ন শাখায় ১৪১ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।আগামী ২৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড দেয়া হবে।কাউছ মিয়া ১৯৯৮ সাল থেকেই দেশের সর্বোচ্চ করদাতার একজন। হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী তিনি।তার জন্ম ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট চাঁদপুর শহরে। বাবা আব্বাস আলী মিয়া ব্যাপারী ও মা ফাতেমা খাতুন। পূর্বপুরুষরা তৎকালীন ত্রিপুরা রাজ্যে বাস করতেন।নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নের সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে কাউছ মিয়ার। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কিশোর বয়সেই চাঁদপুর শহরে ব্যবসায়ী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন।সে সময় তিনি ১৮টি ব্র্যান্ডের বিস্কুট, সাবান ও সিগারেটের এজেন্ট হন। পরে আলোচনায় আসেন তামাক ব্যবসা দিয়ে।

তার হাকিমপুরী জর্দা দেশে এক নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।২০ বছর ব্যবসা করার পর ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে এসে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ৪০টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কাউছ মিয়া। আগা নবাব দেউড়ীতে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন।একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই ব্যবসায়ী সরকারকে কর দিতে শুরু করেন ১৯৬৮ সাল থেকে। ৬৩ বছর ধরে সততা, আন্তরিকতা ও স্বপ্রণোদনার স্বীকৃতিস্বরূপ কাউছকে জাতীয় রাজস্ব খাতের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড সিআইপি মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে।২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঢাকা জেলার ‘কর বাহাদুর’ পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

কর প্রদানে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ধারাবাহিকভাবে ১৪ বার বিভিন্ন রাজস্ব পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা অনুযায়ী ২০২০-২১ কর বছরের জন্য ব্যক্তিপর্যায়ে ৭৬, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৩ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২টিসহ ১৪১ জনকে সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।ব্যক্তিপর্যায়ে বিশেষ শ্রেণিতে ট্যাক্স কার্ড দেয়া হচ্ছে জ্যেষ্ঠ নাগরিক, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, নারী ও তরুণ ক্যাটাগরিতে।আয়ের উৎস বা পেশার ১৩ ক্যাটাগরি হলো ব্যবসায়ী, বেতনভোগী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি, হিসাববিদ, নতুন করদাতা, খেলোয়াড়, অভিনেতা-অভিনেত্রী, শিল্পী (গায়ক-গায়িকা) এবং অন্যান্য।নীতিমালা অনুযায়ী, ট্যাক্স কার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। তারা সড়ক, বিমান বা নৌপথের ভ্রমণে টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারসহ বেশ কিছু সরকারি সুবিধা পাবেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •