টিকটকে র্যাবের পোশাক পরে নারীদের আকর্ষিত করতেন ‘টিকটক রাজ’ ওরফে আব্দুর রাকিব ওরফে খোকন।বিজিবির ল্যান্স নায়েক পরিচয় দিয়ে প্রচার চালাতেন র্যাবে প্রেষণে বদলি হয়েছেন বলে। পরিচয়ের সূত্রে শতাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করে তারপর ব্ল্যাকমেইলিং করেছেন।তাকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে- রাজ র্যাব বা বিজিবির সদস্য না। তিনি এক ভয়াবহ প্রতারক।
র্যাব পরিচয় দিয়ে শতাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করে ব্ল্যাকমেইল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।গত সোমবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে র্যাবের পোশাক, মোবাইল ফোনসেট, সিমসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, শতাধিক নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি, ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেলিং, অর্থ আত্মসাতের বহু অভিযোগ রয়েছে রাজের বিরুদ্ধে। রাজ পেশায় বগুড়ার একটি আবাসিক হোটেলের নিরাপত্তা কর্মী। কিন্তু র্যাবের পোশাক পরে নিজেকে র্যাব-৫ এ কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।‘‘গত দু-বছর ধরে তিনি টিকটক, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে র্যাবের পরিচয় দিতেন। টিকটকে রাজের ২ মিলিয়নের অধিক ভিউ এবং দেড় মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও নিজেকে উচ্চবিত্ত পরিচয় দিতেন রাজ। বিভিন্ন আলিশান বাড়ির সামনে ভিডিও তৈরি করতেন তিনি।’’
কমান্ডার মঈন বলেন, রাজ টিকটকে বিভিন্ন মেয়েদের মধ্য থেকে যারা মূল্যবান অলংকার পরতেন বা অবস্থা সম্পন্ন মনে হতো তাদেরকে টার্গেট করতেন। পরে বিভিন্ন প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে তাদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অলংকার ও অর্থ আত্মসাৎ করতেন। রাজ এসএসসি পাশ। আগে গার্মেন্টসে কাজ করতেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে গত দেড় বছরে তিনটি বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও পরে তার প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে সবাই তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন