• ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সৌদিতে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২১

পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানোর জন্য ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে রেখে দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন টুনি বেগম। কিন্তু পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানো তো দূরের কথা অবশেষে পাশবিক নির্যাতনে হত্যার শিকার হয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরলেন টুনি বেগম।

শনিবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করে টুনি বেগমের পরিবার।টুনি বেগম উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের মেয়ে। মায়ের লাশের পাশে অসহায় ৩টি অবুঝ শিশুর কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় সেখানে।রোববার দুপুরে উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। পরিবারের আহাজারি লাশ পেলাম কিন্তু বিচার পেলাম না। টুনি বেগমের ৩ সন্তান মায়ের লাশের পাশে অঝোর ধারায় কান্না করছে।

টুনি বেগমের ভাই হান্নান মিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার ভাগদিয়া গ্রামের হাছান মিয়া ও দুলাল মিয়ার মাধ্যমে গত ১৮ মার্চ ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর টুনি বেগমের ওপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হয়। টুনির সঙ্গে থাকা সৌদি প্রবাসী এক নারী গত ১২ সেপ্টেম্বর ফোন করে জানান টুনি বেগমকে হত্যা করা হয়েছে।টুনির পরিবারের অভিযোগ, সৌদি প্রবাসী কয়েকজন পরিচিত বাংলাদেশি টুনি বেগমকে পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।

টুনির বোন সায়েরা বেগম জানান, হত্যার ২ মাস পর অনেক ঘোরাঘুরি করে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সৌদি আরব থেকে গত শনিবার রাতে টুনি বেগমের লাশ ফেরত পেয়েছি। কিন্তু এ ঘটনার লাশ ফেরত পেলেও টুনি বেগম হত্যার বিচার পাব কিনা এ নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টুনি বেগমের প্রকৃত অপরাধীদের যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়।মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, টুনি বেগমের লাশ তার পরিবার রোববার দুপুরে রাজেন্দ্রপুর পারিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করেছে। যেহেতু ঘটনাস্থল সৌদি আরব অতএব সেই দেশের সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন