সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ.বি.এম জিল্লুর রহমান উজ্জলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। সিসিক’র একজন ঠিকাদারের কাছে দেড়লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাকে বন্দী করে মারপিট করার অভিযোগে এ মামলা হয়েছে।
ঠিকাদার মোঃ কামাল আহমদ ১১ নভেম্বর রাতে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করেন। মামলা নং-৩৮/৮৫৮। মামলায় গত তিনদিন ধরে কাউন্সিলর উজ্জল পলাতক ও আত্মগোপনে রয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সিলেট নগরীর দক্ষিণ শাহী ইদগাহ-কাজী জালাল উদ্দিন থেকে রামকৃষ্ণ মিশন পর্যন্ত ব্রিক ড্রেন ও আরসিসি স্লাব বসানোর অসমাপ্ত কাজের ঠিকাদারী পায় কামালের প্রতিষ্ঠান আনিসা এন্টারপ্রাইজ।
মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাহি আয়রণ স্টোর-এর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ও সিসিক’র অনুমোদনেই কামাল এ কাজের ঠিকাদারী গ্রহণ করেন। কাজ শুরু করলে গত ২ নভেম্বর কাউন্সিলর এ.বি.এম জিল্লুর রহমান উজ্জল সংগীয় লোকজন নিয়ে ঠিকাদার কামাল আহমদের কাছে গিয়ে দেড়লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং তার সাথে বিরূপ আচরন করেন। পরে ১০ নভেম্বর ১০ থেকে ১৫ জন নিয়ে আবারো কর্মস্থলে যান কাউন্সিলর এ.বি.এম জিল্লুর রহমান উজ্জল।
সেখানে গিয়ে তিনি আবারো দেড়লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন চাঁদা না দিয়ে কাজ করতে পারবেন না। এসময় ঠিকাদার কামাল আহমদ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কাউন্সিলর উজ্জল তার সঙ্গীয়দের সহায়তায় কামাল আহমদকে ধরে মারপিট করেন একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখেন। তার শোরচিৎকার শোনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অবগত করেন। কিন্তু কোন সমাধান না হওয়াতে ঠিকাদার কামাল আহমদ ১১ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে এ মামলা করেন।থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।মামলার পর থেকে কাউন্সিলর এ.বি.এম জিল্লুর রহমান উজ্জল পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
সিলেট কোতোয়ারি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং শুক্রবার মামলাটি কোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন