• ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জুড়ী উপজেলায় প্রিজাইডিং অফিসারকে ‘অচেতন করে’ ব্যালটে সিল

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১১, ২০২১
জুড়ী উপজেলায় প্রিজাইডিং অফিসারকে ‘অচেতন করে’ ব্যালটে সিল

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগেই ৩৫০টি ব্যালটে সিল দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাতিলাসাঙ্গন কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ও কয়েকজন ইউপি সদস্যের পক্ষে ৩৫০টি ব্যালটে অবৈধভাবে এই সিল মারা হয়।ভোট শুরুর আগে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন ও প্রার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এরপর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সিল মারা সেই ব্যালটগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়।বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় এই ঘটনাটি ধরা পড়ে।জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে ব্যালট পেপার চেক করার সময় প্রায় ৩৫০টি ব্যালটে আগেই সিল দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

এ ঘটনার পর সঠিক সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি। পরে প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা হলে প্রায় ২০ মিনিট পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়।পাতিলাসাঙ্গন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পিনাল কান্তি ঘোষ জানান, ভোট গ্রহণের পূর্বে বৃহস্পতিবার ভোরে আনুমানিক ৫টায় ১০-১৫ জনের মুখোশ পরা একটি দুষ্কৃতিকারী দল আমাকে জিম্মি (অচেতন) করে ৩৫০টি ব্যালটে সিল মারে।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভোটগ্রহণের পূর্বে সিল দেওয়া ব্যালটগুলো বাতিল করা হয়। এরপর প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় ২০ মিনিট পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়।উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমি বার বার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছি, তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি আমাকে জানান, কেন্দ্রে একটু ঝামেলা হয়েছে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়।এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ব্যালটে সিল মারার বিষয়টি সঠিক নয়। এটা গুজব।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন