• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গোলাপগঞ্জে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১০, ২০২১
গোলাপগঞ্জে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইকরাম ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ ভবনের নির্মাণ কাজ করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে বিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে।

সরেজমিন গিয়ে ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রফিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য সরকারি ভাবে গত বছরের ৭ অক্টোবর টেন্ডার গ্রহণ করে ইকরাম ট্রেডার্স নামে একটি টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অত্র বিদ্যালয়ের সাথে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করবে বলে একটি চুক্তি পত্র সম্পাদন করে টিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হওয়ার পর সাইড ম্যানেজার হিসেবে মো.সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন নিযুক্ত করা হয়। এরপর বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করার জন্য নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহৃত মালামাল আসতে শুরু হয়। মালের গুণগত মান ভাল না হওয়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ভাবে কাজের উপর আপত্তি প্রদান করেন।

তখন সাইড ম্যানেজার আপত্তি গুলো এড়িয়ে যান। তার পরবর্তীতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সাইড ম্যানেজার হিসেবে রাজিব আহমদ নামে একজনকে নিযুক্ত করা হয়। তখন তিনি লোড পরীক্ষার জন্য আসেন। লোড টেস্ট ৭০/৭২ টন হওয়ার কথা থাকলেও তিনি ৪৫ টন দিয়ে কাজ ফাঁকি দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী সেখানে পরিদর্শনে যান। এরপর তারা কি ভাবে বিষয়টি সমাধান করেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও চলতি বছরের গত ৩ অক্টোবর ফাহিম আহমদ নামে আরও একজনকে সাইড ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি নিযুক্ত হওয়ার পর দিনের বেলা একধরনের কাজ করেন, রাতের আধারে আরেক ধরণের কাজ করেন বলে এলাকাবাসী অনেকে অভিযোগ করেন। রাতের আধারে কাজ করতে গিয়ে তিনি জনগনের রোষানলেও পড়েছিলেন বলেও জানা যায়।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সহ-সভাপতি ছকিব আলী জানান, বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের কাজে নিম্ন মানের ইট ও মাটি মিশ্রিত বালুর দিয়ে বেইসের কাজ করা হচ্ছে। বেইস যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে বিদ্যালয়টির ভবণ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।

বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা আবুল হোসেন জানান, ভবন নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়িমের ব্যাপারে আমি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজিত কুমার পাল কথা বলার কারণে আমাদের ধমিয়ে রাখতে ওই ঠিকাদার নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগও করেছেন। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে এই বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণের অনিয়মগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখেন।

এদিকে অনিয়মের ব্যাপারে ইকরাম ট্রেডার্সের পরিচালক ইকরাম আহমদ মুঠোফোনে জানান, ‘কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে আমি এখনো সেখানে যাইনি। অভিযোগ পেয়েছি, সিসি ডালাইয়ে কংক্রিটের সাথে পাথর দেওয়া হচ্ছে। কংক্রিটের সাথে মাটি ও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তবে তাদের সব কথা সঠিক বলা যাচ্ছে না। খবর সিলেটটুডে২৪নিউজ

তিনি বলেন, লোড টেস্টের ব্যাপারে আমার এত ধারণা নেই। এটা পরীক্ষার রিপোর্ট বুয়েটের এরা সঠিক ভাবে বলতে পারবে। আর সেখানে রাজিব নামে কোন সাইড ম্যানেজার ছিল বলে আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি আমি দেখবো।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন