• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সিসিকের হোল্ডিং শাখার কোটিপতি চন্দন দাসের আলিশান বাড়ি

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
সিসিকের হোল্ডিং শাখার কোটিপতি চন্দন দাসের আলিশান বাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা::সিলেট সিটি কর্পোশেনের হোল্ডিং শাখার গুনধর কর্মচারী চন্দন কুমার দাস।

যতদূর জানা যায়,চন্দন দাস ১৯৯৬ সালে কর ধার্য এসেসমেন্ট হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন।

প্রথমে মাষ্টার রুলে চাকরি করলেও নানা কৌশলে তিনি বর্তমানে এসেসমেন্ট শাখার প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।

বিগত দিনে সিসিকে কাজ করার সূবাধে সখ্যতা হয়েছে নগরীর বিশিষ্টজনদের সাথে।

এরই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রচুর ভূ-সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন।

নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এই গুনধর কর্মকর্তার সিলেট নগরীতে রয়েছে ৪টি বাড়ি,৩টির নির্মান কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এর মধ্যে ১টি ২য় তলা,একটি ৩য় তলা এবং ওপরটি ৫ম তলার। সিসিকের সৌভাগ্যবান এই কর্মচারীর বিরোদ্ধে ভূমি জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে,নগরীর চালিবন্দরস্থ মাদানী সিটি এলাকার বাড়ি তৈরি করছেন চন্দন দাস। এই জায়গার এসএ রেকর্ডিয় মালিক শশী মোহন চক্রবর্তী। যার উত্তরাধীকারী হিসেবে ওই ভূমির প্রকৃত মালিক কিশোর কুমার চৌধুরী গং। নগরীর মিউনিসিপিলিটি মৌজার জে এল নং ৯১, এসএ খতিয়ান নং ৩৬৩১, দাগ নং ৭৩৫৪ এ মোট পরিমান ৫ একর ৬২ শতক ৮৭ পয়েন্ট। তন্মধ্যে চন্দন কুমার দাস ২০ শতক ভূমি জবর দখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উক্ত ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।সুপ্রিম কোর্ট এর এফ.এম.এ মামলা নং ২২০/২০১৭।

২০১৮ সালের ১৮ মার্চে এই মামলায় শুনানীকালে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি জনাব মামনুর রহমান ও বিচারপতি জনাব আশীষ রঞ্জন দাস। দুই বিচারপতির দ্বৈত বেঞ্চে শুনানীকালে ওই ভূমির উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। যা এখনও বলবৎ রয়েছে।

কিন্তু সিসিকের এই গুনধর কর্মকর্তা মাননীয় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষা করে ওই ভূমিতে নির্মান কাজ চলমান রেখেছেন এবং সেখানে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

চালিবন্দর এলাকায় উনার নিজস্ব দু তালা বাসা রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে । কাষ্টঘরের সংখ্যালঘুদের প্রধান মুরব্বি রাম বাবু এ প্রতিবেদককে জানান, সংখ্যালঘু ২৪ পরিবারে সম্পত্তি চন্দন দাসে দখলে, উনারা নিরুপায় হয়ে শ্রী মনিন্দ্র চন্দ্র দে কে মামলা পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিসিকের এসেসমেন্ট শাখার প্রধান চন্দন দাস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে, ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়, তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক এ প্রতিবেদককে জানান,
বিষয়টি আমার জানা নেই, এরকম অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। চলমান….!

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন