• ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ওসমানীনগরে এটিএম বুথে লুট: আরও ১ ডাকাত গ্রেপ্তার

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
ওসমানীনগরে এটিএম বুথে লুট: আরও ১ ডাকাত গ্রেপ্তার

সিলেট ওসমানীনগরের শেরপুর পশ্চিম বাজারে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) এটিএম বুথে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আরও ্রকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সাফিউল কবির জাকির নামে একজনকে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জ থেকে আটক করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল আলম রোকন।

বিষয়টি বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক।গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলাধীন শেরপুর পশ্চিম বাজারে ইউসিবিএল-এর এটিএম বুথে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিন চার মুখোশধারী বুথে ঢুকে নিরপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫ শ’ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

সিসি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, ডাকাতদের মধ্যে তিনজনের মাথায় ছিলো লাল কাপড় বাধা ও একজনের মাথায় ক্যাপ। সবার মুখই মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিলো।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ওসমানীনগর থানালিশ। পরবর্তীতে মামলা দায়ের হওয়ার পর থানা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ইউনিটের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সে মোতাবেক কাজ শুরু করে ডিএমপির সাইবার ইউনিট।

বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্তের পর ঢাকা থেকে নূর মোহাম্মদ নামে এক দর্জিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড শামীম আহম্মেদ ও তার সহযোগী আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানাতে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।এতে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন সিসি ক্যামেরায় কালো রঙ স্প্রে করা মুখমণ্ডলে কাপড় পেঁচিয়ে শাবল দিয়ে বুথ ভাঙা, সবই ‘সিআইডি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে করে এই চারজন।এদিকে ডিবি পুলিশ বলছে,১৩ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মোট ২৪ লাখ লুট করা হয়। এরমধ্যে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাকার একটি অংশ দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, লুট করা টাকা দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। তদন্ত চলছে, পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করবে তাদের।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের বিষয়ে সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও মিডিয়া অফিসার মো. লুৎফর রহমান বলেন, তাদের পূর্ণ ঠিকানা এখনও আমাদের জানানো হয়নি। তবে তাদের সবার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন