• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

রাতারগুলে ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
রাতারগুলে ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল।এটি গত ৭-৮ বছরে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রাতারগুলকে গণমাধ্যম ও সিলেটের কিছু তরুণ প্রাকৃতিক অপরূপ বৈচিত্র্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত করেছেন।

কিন্তু চলমান সময়ে বিভিন্ন সহিংসতা আর অবৈধ চাঁদাবাজির কারণে রাতারগুলে দেশি বিদেশি পর্যটক আসতে আগ্রহ হারাচ্ছে। জলারবন রাতারগুল প্রতিবছরই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি হিসেবে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে গুরুত্ব পেয়ে উঠেছিল। কিন্তু চলমান সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।

মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর)চৌগ্রাম বাগবাড়ি ঈদগাঁ বাজারে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফখরুদ্দিন আহমদের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় ঐসব বিস্থর মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। এসময় বক্তারা বলেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকরা স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনের মনোনীত চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

রাতারগুল মাঝের ঘাঠের চৌগ্রাম ঈদগা বাজার নামক স্থানে ফখর উদ্দিন বাহিনীর লোকজন রাস্তা ঘেরাও করে রাখেন এবং দূর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের রাতারগুলে প্রবেশ করতে দেননি।

বক্তারা আরও বলেন সোমবার স্বপ্নের সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুলে ঘুরতে এসে এই চক্রের হয়রানির শিকার রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ। রাতারগুলের স্বচ্ছ পানিতে ভেসে বেড়ানোর স্বপ্ন তাদের পূরণ হয়নি। নৌকা ঘাটে যাওয়ার আগে চৌগ্রাম ঈদগা বাজার নামক স্থানে তাদের সব আনন্দ যেন ম্লান হয়ে গেলো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন মেম্বারের হয়ে রাস্তা ঘেরাও করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্ধা আব্দুল মালিক, নজমুল আলী,আরব আলী,মন্সাদ আলী,আব্দুল্লাহ মিয়া,রশিদ আহমদ,আয়ূউব আলী,শরীফ উদ্দিন,বাবুল উদ্দিন,আরমান,সালমান,আনা মিয়া, আরব আলী,আলিল আহমদসহ একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।

এদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।নৌকা ঘাটে যাওয়ার আগে চৌগ্রাম ঈদগা বাজার নামক স্থান থেকে পর্যটক ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।যার ফলে প্রায় দেড় শতাধিক নৌকা বন্ধ রয়েছে।

এই নৌকা গুলো বন্ধ থাকায় প্রায় দুই শত পরিবারের সদস্য না খেয়ে আছে। প্রতিবাদ সভায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন বলেন,আমার লোকজনকে নৌকার মাঝিরা কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা না দিয়ে তারা একাই বাণিজ্য করে যাচ্ছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে রাস্তা ঘেরাও করে তাদের দাবি আদায় করছে।

তিনি আরও বলেন,গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও বিষয়টি জানানে এবং তিনি সরেজমিন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •