• ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে আজমল হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
বিয়ানীবাজারে আজমল হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ গ্রামের আজমল হোসেন কে হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত মো.মিজানুর রহমান ভূইয়া।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রুহেল আহমদ ওরফে কালা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কুতুবনগর গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে ও অপুদাস ওরফে জাকারিয়া মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা গুলসা এলাকার বিজয় কান্ত এর ছেলে।

মামলার রায়ে উক্ত দুই আসামীকে ৩০২ ধারায় মৃত্যু দন্ড ও ৫০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬মাসের কারাদণ্ড, ৩৯৭ ধারায় দশ বৎসরের কারাদণ্ড ও ১০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণা করার সময় দুই আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় চার আসামী ছিলেন, অপর দুই আসামী সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার শান্তিনগর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ হোসাইন আহমদ ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল এলাকার নলুয়ারপাড় গ্রামের আলকাছ উদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন। এই দুই আসামীর বয়স কম হওয়াতে শিশু আদলতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

আদালত সূত্র জানায় , আজমল হোসেন ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারী উপশহর বাসা থেকে নিজ বাড়ি বিয়ানীবাজারের জলঢুপ গ্রামে যান। এলাকায় তিনি একটি মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন,মাদ্রাসার কাজের জন্য তিনি ৫০,০০০টাকা সাথে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। অত্র এলাকায় একজন দানশীল ও স্বজ্জন ব্যক্তি হিসেবে ও তিনি পরিচিত ছিলেন। ৩ফেব্রুয়ারি সকালে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাঁর বাড়িতে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন।তারা বিষয়টি আত্বীয়স্বজ্জনসহ সবাইকে কে জানালে আত্বীয়স্বজ্জন সহ উপস্থিত সবাই তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চিকিৎসারত অবস্থায় আজমল হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরে মামলাটি তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চারজন আসামীকে পুলিশ সনাক্ত করে ও ১৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়।

দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালত মিজানুর রহমান ভূইয়া এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এড.রাসেল খাঁন ও এড.নুরুল আমীন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এডিশনাল পিপি এড.জসীম উদ্দীন আহমদ।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এড.আলী হায়দার।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রাসেল খাঁন জানান,আমরা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি,উচ্চ আদালতে ও এই রায় বহাল থাকবে বলে সেই প্রত্যাশা করি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন