• ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট-৩ আসনে জামানত হারালেন শফি-জুনায়েদ

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
সিলেট-৩ আসনে জামানত হারালেন শফি-জুনায়েদ

নির্বাচনী আইন অনুসারে ভোটের ৮ শতাংশ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
প্রার্থীরা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এই জামানত জমা দেন।

(৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট-৩ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে দুজন এমপি প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

তারা হচ্ছেন-বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী

বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া।

তাদের মধ্যে শফি পেয়েছেন (৪.২৫%) ৫ হাজার ১৩৫ ভোট আর জুনায়েদ পেয়েছেন মাত্র (০.৫৩%) ৬৪০ ভোট। তাই নির্বাচনী আইন অনুসারে তাদের দুজনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।

তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট।

আতিকের চেয়ে হাবিব ৬৫ হাজার ৩১২ ভোট বেশি পেয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমা,ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। মোট প্রার্থী ছিলেন চারজন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান (নৌকা) জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল) নির্বাচনে নেমে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত পৌনে নয়টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বিজয়ী হিসেবে হাবিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন,উপনির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী,রাজনৈতিক দল,ভোটার ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিলেট সম্প্রীতির অঞ্চল হিসেবে সারা দেশে সুপরিচিত। এই উপনির্বাচনে এটা পুনরায় প্রমাণ হলো।নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

চলতি বছরের গত ১১ মার্চ এ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে দুই দফা তারিখ পিছিয়ে আজ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

আসনটিতে ভোটকেন্দ্র ছিল ১৪৯টি। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়েছে।

তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুব কম। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩ জন। মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯১টি, অর্থাৎ ৩৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন