• ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কাবিন চাওয়ায় বাড়িছাড়া গৃহবধূ, সন্তানদের নিয়েপালিয়ে বেড়াচ্ছেন,থানায় জিডি

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০২১
কাবিন চাওয়ায় বাড়িছাড়া গৃহবধূ, সন্তানদের নিয়েপালিয়ে বেড়াচ্ছেন,থানায় জিডি

বিয়ের কাবিন চেয়ে ঘরছাড়া সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহর এক গৃহবধূ। এছাড়া তার সঞ্চিত টাকা আত্মসাত ও যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতিতা গৃহবধূ আয়েশা আফছানা স্বামীর বিরুদ্ধে দেবর ও শ^শুরের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েও কোনো ফল পান নি। উল্টো সাংবাদিক পরিচয়দানকারী প্রতারক দেবর বাড়াবাড়ি করলে তাকে ধর্ষণ ও সন্তানদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

এ কারণে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন গৃহবধূ আয়েশা আফছানা। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (নং-২৬৭২, তারিখ ৩০.০৮.২০২১) করেছেন।

জিডিতে আয়েশা আফছানা উল্লেখ করেন, শাহপরান (রহ.) থানা এলাকার বালুচরের আওলাদ আলীর ছেলে রাজন আহমদ তিন বছর আগে মোল্লা ডেকে তাকে বিয়ে করেন। এ সময় অসচ্ছলতার কারণে কয়েকদিন পর কাবিন করার আশ^াস দেন রাজন। বিয়ের পর উভয়ে সংসার শুরু করলেও কাবিন করার বিষয় সব সময় এড়িয়ে গেছেন রাজন।

বার বার সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। এদিকে বিয়ের পর উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা শুরু করেন। পিতার পেনশনের টাকা ও নিয়ে হাতে পুতির ব্যাগ তৈরির টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন আফসানা। এর মধ্যেই বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন রাজন। টাকা না দিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।

বার বার নির্যাতিত হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী হন শ^শুর আওলাদ আলী ও দেবর মোহন আহমদের কাছে। কিন্তু এতে উল্টো বিপদ বাড়ে আফছানার।
মানবাধিকার সাংবাদিক, টিলা সাংবাদিক,র‌্যাব পুলিশের সোর্সসহ বিভিন্ন পরিচয়ে আফছানাকে হয়রানি ও হুমকি দিতে থাকে দেবর মোহন আহমদ।

সর্বশেষ গত ১২ আগস্ট কাবিন চাওয়ায় স্বামী রাজন আহমদ গৃহবধূ আয়েশা আফছানাকে মারধোর করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন আফছানা। একটু সুস্থ হয়ে আফছানা বালুচরে রাজনের বাসায় গেলে কাবিন প্রদানের আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপন করতে থাকে।

এক পর্যায়ে কথিত সাংবাদিক মোহন আহমদ আফসানার বাসায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ভাবী আফছানাকে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে। অন্যথায় ধর্ষণ এবং সন্তানসহ আফছানাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সন্তানদের নিয়ে আত্মগোপন করেও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদ বলেন, জিডি তদন্ত শেষে সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে কাজ করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন