আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাসহ নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে।
আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ১৫৯ জন।
পেন্টাগনের সেন্ট্রাল কমান্ড মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান এক বিবৃতিতে অ্যাবে গেটে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা নিহত ও অনেকে আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসআইএস।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পেন্টাগন বলছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি নিশ্চিত করে বলেন, হামলাটি করেছে আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ,আইএসকেপি (আইএসআইএস-কে) যারা আইএসআইএল (আইএসআইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনপুষ্ট।
প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বাইডেন বলেন,আমরা আপনাকে শিকার করব,এর জন্য আপনাকে মাশুল দিতে হবে। আমি আমার প্রতিটি আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করার কথা বলব।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবে বলেন,বিস্ফোরণটি কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেট এবং আরেকটি ব্যারেন হোটেলের কাছে হয়। এর মধ্যে একটি আত্মঘাতী হামলা। ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ক্ষমতায় আসার পর দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশ।
কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্ধার কাজ করছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। মিত্র দেশগুলোর সময় বাড়ানোর চাপ থাকলেও ৩১ আগস্টের মধ্যে উদ্ধার কাজ শেষ করার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
আগে থেকেই বিমানবন্দরটিতে হামলার আশঙ্কা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে জন্য আফগান ও নিজেদের নাগরিকদের সতর্কও করে। বৃহস্পতিবার সকালেও বিমানবন্দরে হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দরে না আসার অনুরোধও করে।
বিমানবন্দর ও আশপাশের কিছু এলাকা থেকে আফগানদের সরিয়ে দিয়ে খালিও করা হয়। বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের পাশে যে বিস্ফোরণ হয়, সে সময় সেখানে অন্ততত চার থেকে পাঁচ শ মানুষ ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন