• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আলেমদের দাবি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২১
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আলেমদের দাবি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার

বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশের শীর্ষ আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল।কওমি মাদরাসাগুলো খুলে দিতে এবং কারাগারে থাকা আলেমদের মুক্তির দাবি নিয়ে বুধবার দুপুর ২টায় আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন মাওলানা নূরুল ইসলাম,আব্দুল কুদ্দুস,মাহফুজুল হক,মুফতি ফয়জুল্লাহ,নূরুল আমীন,মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস সম্পাদক অছিউর রহমান জানান,শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মাদ্রাসা খুলে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অছিউর বলেন,মাদ্রাসা খুলে দেয়া ছাড়াও দ্রুত সব আলেমদের মুক্তির বিষয়ে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী মহোদয় দ্রুত জামিনের আশ্বাস দিয়েছেন। তখন জামিনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর করার দাবি জানান আলেমরা।’

মাহমুদুল হাসান জানান, কওমি মাদ্রাসাগুলোতে কোরআন-হাদিসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয় এবং কোরআন তেলাওয়াত, যিকির, দোয়া, তাহাজ্জুদ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে মহামারি ও বালা-মসিবত হতে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে মোনাজাত করা হয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে জাতি করোনাসহ সবরকম বালা-মসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকায় মহান আল্লাহর দরবারে সম্মিলিত ব্যাপক দোয়া ও কান্নাকাটি বন্ধ হয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর হতে চলল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা অহেতুক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।’

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে সারা দেশের কওমি মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে বন্ধ করে দেয়া হয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে বিশেষ বিবেচনায় কওমি মাদ্রাসাগুলো চালু রাখার সুযোগ করে দেয় সরকার।

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ২০২০ সালের চেয়ে বেশি হারে মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর এবার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ আসে গত ২৯ মার্চ। এই নির্দেশনা আসার পরেও সব মাদ্রাসা বন্ধ হয়নি। এই সময়ে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষাও হয়েছে।

পরে ৬ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অবিলম্বে কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। সেই থেকে বন্ধ মাদ্রাসা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন