• ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

পরীমণির ‘পৃষ্ঠপোষকদের’ কাছে টিকার টাকা চাইলেন, জাফরুল্লাহ

sylhetnewspaper.com
প্রকাশিত আগস্ট ৮, ২০২১
পরীমণির ‘পৃষ্ঠপোষকদের’ কাছে টিকার টাকা চাইলেন, জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটা টিকা তৈরি করতে আধা ডলারের বেশি খরচ হয় না। তার জন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। দেশে যারা ব্যবসায়ী আছেন,

পরীমণির জন্য যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন;তারা ইচ্ছা করলে ৭ দিনের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা জোগাড় করে দিতে পারেন।’শনিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ক একটি সেমিনারে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ডা. জাফরুল্লাহ। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণবিশ্ববিদ্যালয়।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন,আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত, ছয় মাসের মধ্যে নিজস্ব টিকা তৈরি করা। কিউবা, ইরান যেমন করোনার টিকা তৈরি করেছে তেমনি বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে রাশিয়া আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরাই কিউবার মতো টিকা তৈরি করতে পারবো। তখন এর দাম পড়বে আধা ডলার।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘দেশে টিকা তৈরি করার জন্য আমি আগেও প্রস্তাব করেছি, আবারও করছি। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আজাদ, বিজন কুমার শীল আছেন। আরও দুই চারজন যারা আছেন, তাদের নিয়ে টিকা তৈরি হবে। বক্তৃতা না দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এই একটা কাজ করলেও প্রধানমন্ত্রী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

তিনি বলেন,আমাদের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ডিকোডিং করেছেন। এটার জন্য অনেক বেশি গবেষণার দরকার।

চীন একশ কোটি টিকা তৈরি করে বিক্রি করবে। ছয় মাসেরও আগে আমাদের এখানে চীন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে চেয়েছিল কিন্তু সেটা হয়নি।

ভ্যাকসিন তৈরি নিউক্লিয়াস সাইন্সের ব্যাপার না। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, এখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন।

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজ রাশিয়ার সহযোগিতা নিয়ে কিউবা ও ইরান টিকা তৈরি করছে। দেড় বছর আগে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম। আমাদের কথা শোনেন নাই। দেশের সকল নাগরিককে আপনি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। কে আওয়ামী লীগ করে,কে বিএনপি করে তা আপনার বিবেচ্য না।’

তিনি বলেন, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ভয়াবহতার জন্য অন্যান্য মিউটেশন (পর্যায়ক্রমে রূপান্তর) এর সঙ্গে T19R মিউটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং এ কারণে এই ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে ঠিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো উৎপাদন করার সুযোগ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক অনুবিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অনুবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. বিজন কুমার শীল।

ওয়েবিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, পিএইচসি’র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিএসএমএমইউ’র ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মোস্তফা হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য বাতায়ন ডা. নিজাম উদ্দীন আহমেদ, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার প্রমুখ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন