পরীমণি স্বনামধন্য চিত্রনায়িকা। তাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার বাসায় কোন মদ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার(৫ আগস্ট)বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার জামিন শুনানিতে এসব কথা বলেন পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সুরভি।
তিনি বলেন,তার(পরীমণির)বাসা থেকে যে সাড়ে ১৮ লিটার মদ উদ্ধার দেখানো হয়েছে,তা তার বাসায় ছিল না। তার বাসায় কয়েকটি খালি মদের বোতল ছিল। সেগুলো ডেকোরেশন পিস হিসেবে রাখা ছিল।
এগুলো জব্দ তালিকায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া,তার কাছে কোনো আইস এবং এলএসডি ছিল না। আমরা তার জামিন চাই।
আইনজীবী আদালতকে বলেন,এ মামলায় পরীমণিকে হয়রানির কারন পেছনের একটি দ্বন্দ্ব (নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা)। তার মানসম্মান নষ্টের জন্যেই এ মামলা।
স্বনামধন্য একজন নায়িকার মানসম্মান যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেজন্য রিমান্ড নামঞ্জুর করা প্রয়োজন। তাকে জামিন দেওয়া উচিত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে পরীমণির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুকে হাজির করা হয়। পরে তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এর আগে, সন্ধ্যার দিকে শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮- এর ৩৬(১)এর সারণি ২৪(খ)/৩৬(১)এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার(৪ আগস্ট)রাতে অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটক করে তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন